আজকের শীর্ষ সংবাদ

রংপুরে ভাঙারির দোকানে মিলল ১১ মন সরকারি নতুন বই

11 new government books were found in a second hand shop in Rangpur
Spread the love

রংপুরের পীরগাছায় ভাঙারির দোকানে বিক্রির সময় স্থানীয় জনতা বস্তাভর্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১ মণ বই আটক করেছে। এ ঘটনায় ক্রেতা সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের পাওটানা হাট সংলগ্ন এলাকা থেকে বইগুলো উদ্ধার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

আটক সাইফুল ইসলাম একই ইউনিয়নের দামুশ্বর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ৪৪০ কেজি প্রাথমিকের নতুন বই বিক্রি করেছেন দক্ষিণ ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম। ২০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন ভাঙারি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। পরে বস্তায় ভরে বইগুলো ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ায় সময় পাওটানাহাট সংলগ্ন এলাকায় আটক করে স্থানীয়রা। সরকারি বই এভাবে বিক্রির ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসলে বইসহ ক্রেতাকে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে বইসহ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে থানায় নেয় পুলিশ সদস্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দক্ষিণ ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম পাশের দৌলত খা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন। তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে দীর্ঘদিন থেকে ১০-১২টি বেসরকারি স্কুলের নামে বিপুল পরিমাণ বই উত্তোলন করে আসছেন। পরে ওই বইগুলো স্থানীয় বাজারে টাকার বিনিময়ে বিক্রি  করে আসছিলেন মাইদুল ইসলাম। তবে তাদের কাছে এতো বই থাকার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকেই। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

পাওটানা হাটের ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম বলেন, ওই প্রধান শিক্ষক এতোগুলো বই কীভাবে পেলেন তা খতিয়ে দেখতে হবে।

11 new government books were found in a second hand shop in Rangpur
11 new government books were found in a second hand shop in Rangpur

বই ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বইগুলো তার কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আছিয়া বেগম বিক্রি করেন এবং বই নেওয়ার সময় যেন কেউ না দেখতে পায় সেই বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন। 

প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলাম বলেন, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বই বিক্রির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই সময় আমি স্কুলে ছিলাম।

পীরগাছা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সাড়ে ৪৪০ কেজি বই উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় প্রধান শিক্ষক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় ক্রেতা সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে আটক করার জন্য অভিযান চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *