১. সিস্টোসকপি (cystoscopy): প্রসাবের রাস্তা দিয়ে ক্যাথেটার প্রবেশ করানোর মাধ্যমে যে পরীক্ষা করা হয় এর দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না। (হেদায়া)
২.প্রক্টোসকপি (proctoscopy):অর্শ,পাইলস,পিসার, হারিশ, বুটি ও ফিস্টুলা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষাকে প্রক্টোসকপ বলা হয়। পিছনের রাস্তা দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। রোগী যাতে করে ব্যথা না পায় সে জন্য নলের মধ্যে গ্লিসারিন জাতীয় কোন পিচ্ছল বস্তু ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নলটি সম্পূর্ণ ভিতরে প্রবেশ করে না। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী ঐ পিচ্ছিল বস্তুটি নলের সাথে মিশে থাকে এবং নলের সাথেই বেরিয়ে আসে, ভেতরে থাকে না। আর থাকলেও তা পরবর্তীতে বাহির হয়ে আসে। যদিও শরীর তা চোষে না কিন্তু ঐ বস্তুটি ভিজা হওয়ার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (ফতওয়া শামী)
৩.লেপারোস_কপি (Laparoscopy): শিক্ জাতীয় একটি যন্ত্র দ্বারা পেট ছিদ্র করে পেটের ভিতরের কোন অংশ বা গোশত ইত্যাদি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র। এতে যদি ঔষধ লাগানো থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে অন্যথায় রোযা ভাঙ্গেব না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)
৪.মস্তিস্ক_অপারেশন (Brain Operation): রোজা অবস্থায় মস্তিস্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙ্গবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)
৫. রক্ত নেয়া বা দেয়া : রোজা অবস্থায় শরীরে রক্ত প্রবেশ করালে বা শরীর থেকে রক্ত বাহির করলে রোজা ভাঙ্গবে না। (আহসানুল ফতওয়া)
৬.অক্সিজেন (Oxygen): রোজা অবস্থায় ঔষধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোযা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)