আজকের শীর্ষ সংবাদ

রোহিঙ্গাদের জন্য চাওয়া প্রতিশ্রুত অর্থের ৫০% পাওয়া গেছে

রোহিঙ্গাদের জন্য চাওয়া প্রতিশ্রুত অর্থের ৫০% পাওয়া গেছে
Spread the love

২০২৩ সালে চাওয়া হয়েছিল ৮৭ কোটি ৫৯ লাখ ডলার, যা ৯,৬০০ কোটি টাকা।

২০২৪ সালের জন্য চাওয়া হচ্ছে ৮৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার, যা প্রায় ৯,৪০০ কোটি টাকার সমান।

রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা তহবিল কমছে। ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা চেয়ে পাওয়া গেছে এর ৫০ শতাংশ।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এমন এক প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রোহিঙ্গাদের জন্য যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা (জেআরপি) ঘোষণা করা হচ্ছে। তহবিল–সংকট থাকায় চাওয়া হচ্ছে আরও কম অর্থ। পরিমাণে তা ৮৫ কোটি ২৪ লাখ ডলার।

রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা তহবিল কমছে। ২০২৩ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা চেয়ে পাওয়া গেছে এর ৫০ শতাংশ।

মিয়ানমারের গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে আসছে জাতিসংঘ। ২০১৭ সালে থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের জন্য জেআরপি নামের মানবিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে।

জেনেভায় জেআরপি-২০২৪ ঘোষণা নিয়ে আজ সহযোগিতাকারী দেশগুলো ও জাতিসংঘের সমন্বিত বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।

জেআরপি-২০২৪–এর খসড়া পরিকল্পনা থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালে মানবিক সহায়তার চাহিদা রয়েছে মোট সাড়ে ১৫ লাখ মানুষের, এর মধ্যে রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজন রয়েছেন। তবে তহবিল–সংকটের কারণে সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। এ বছর রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি ৩ লাখ ৪৬ হাজার বাংলাদেশিকে মানবিক সহায়তার পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। চাহিদা থাকার পরও সংকটে থাকা দুই লাখ বাংলাদেশি জেআরপি থেকে বাদ পড়ছেন। কারণ, তহবিলের অপর্যাপ্ততা।

চলতি বছরের জেআরপিতে অগ্রাধিকারের মধ্যে আছে রোহিঙ্গাদের পুষ্টি নিশ্চিত করা, সম্মানজনক আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ পানি, পয়োনিষ্কাশন এবং স্যানিটেশন (ওয়াশ) সেবা। খসড়া জেআরপিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হচ্ছে খাদ্যনিরাপত্তায়।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই মানবিক সংকট চলছে। সেখানেও সহযোগিতা করতে হয় দাতাদেশগুলোকে। ফলে তহবিলের ঘাটতি রয়েছে। এবার দ্রুত জেআরপি প্রকাশ করার মাধ্যমে যত বেশি সম্ভব তহবিল সংগ্রহ করাই লক্ষ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *