মানুষের পয়গাম নিয়ে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব নবী ও রাসূলের আগমন করেছেন তাদের মধ্যে ঈসা {আ.} অন্যতম । ফিলিস্তিনের “বাইত লাহম “{ বেথেলহাম } নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তার মাতার নাম মারিয়াম বিনতে হান্না বিনতে হা ফাখুজ ।হযরত ঈসা আল্লাহর হুকুমে পিতা {আ.} ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেন ।
তার জন্ম সাল হতেই খ্রিস্টাব্দ গননা করা হয় । পবিত্র কুরআনে তাকে মাসীহ ইবনে মারিয়াম কালিমাতুল্লাহ ও রুহুল্লাহ ভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়েছে ।
তার ওপর আসমানী কিতাব ইনজিল নাযিল করা হয়েছে ।
আল্লাহতায়ালা তাকে মুজিজা {অলৌকিক ক্ষমতা } দান করেন । তিনি দোলনায় থাকা অবস্থায় বাকশক্তি লাভ করেন । আল্লাহ তায়ালা মুজিজা হিসেবে তাকে মৃতকে জীবিত করা , অন্ধকে চক্ষুদান করা শ্রেত কুষ্ঠ রোগীকে আরোগ্য করা শক্তি করেছিলেন ।
আল্লাহর হুকুমে মাটির তৈরি পাখিকে ফুৎকার দিয়ে জ্যান্ত বানিয়ে ফেলতেন ।
শেষ জামানায় পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগে হযরত ঈসা {আ.} পুনরায় দুনিয়াতে আগমন করবেন ।
তিনি ৪৫ বছর পৃথিবীতে অবস্থান করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন ।
হযরত ঈসা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হয়ে তার প্রতিনিধি হিসেবে ইসলামের দিকে আহ্বান করবেন।
এরপর তিনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করবেন এবং তাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারকের পাশে দাফন করা হবে । কিয়ামতের দিন তারা দুজন একই স্থান থেকে উঠবেন ।