নৈতিক গুণাবলি, যোগ্যতা, মানবীয় তৎপরতা, সহযোগিতা, কর্ম-কীর্তি এবং ইবাদতমূলক চেতনার মধ্যেই মনুষ্যত্বের বিকাশ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন তো তারাই, যারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি বিশ্বাসে অবিচল এবং তা থেকে বিচ্যুৎ হয় না…আর এরাই তো প্রকৃত সত্যনিষ্ঠ।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১৫)
ইসলামের সব কিছুর সঙ্গে মানবিক মূল্যবোধ, সৌজন্য, সেবা ও শান্তির সুনিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান।
প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই তার মধ্যে ঈমানও নেই এবং যার কাছে অঙ্গীকার পালনের গুরুত্ব নেই তার কোনো ধার্মিকতা বা ধর্মও নেই।’ (বায়হাকি)
ঈমান (إِيمَان ‘ঈমান’, শাব্দিক অর্থ প্রচলিতমতে বিশ্বাস, মতান্তরে স্বীকৃতি) শব্দের আভিধানিক অর্থ স্বীকার করা, স্বীকৃতি দেওয়া, অনুগত হওয়া মতান্তরে দৃঢ় বিশ্বাস করা। এটি কুফর বা অস্বীকার করা বা অবাধ্যতার বিপরীত। ইসলাম ধর্মে ঈমানের অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।[১]।
ঈমানের অর্থ সম্পর্কে আলেমদের বক্তব্য
আহলে সুন্নাহ ওয়াল-জামাআহ অনুসারে ঈমান হল:
অন্তরে স্বীকার করা, জিহ্বা দিয়ে বলা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা করা; এটি আনুগত্যের সাথে বৃদ্ধি পায়, এবং পাপের সাথে হ্রাস পায়।
এবং তাদের উক্তি থেকে:[২]
ইবনে আবদ আল-বার বলেন:
ফকীহ ও হাদীসের লোকেরা একমত যে, ঈমান হল কথা ও কাজ এবং নিয়ত ছাড়া কোন আমল নেই। মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস আল-শাফিঈ, সাহাবীগণ, এবং তাবিয়ূন তাদের পরে, আমরা বুঝতে পেরেছি: ঈমান হচ্ছে বলা এবং করা এবং নিয়ত ছাড়া তিনটির একটি অপরটির জন্য যথেষ্ট নয়।
ইসমাইল বিন মুহাম্মাদ বিন আল-ফাদল আল-তাইমি আল-আসবানী] বলেছেন:
আর আইনের ভাষায় ঈমান হল হৃদয় দিয়ে অনুসমর্থন এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজ।