![ফোন ট্র্যাকিং হচ্ছে কী না যেভাবে বুঝবেন](http://mbangla.com/wp-content/uploads/2024/03/ফোন-ট্র্যাকিং-হচ্ছে-কী-না-যেভাবে-বুঝবেন-300x169.png)
ফোন ট্র্যাকিং অনেক অপ্রত্যাশিত উপায়ে করা হয়। আপনার ডিভাইসে কারও প্রবেশের অধিকার থাকলে কেউ ফোনে লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচারটি চালু করতে পারবে। অন্য কোনো ব্যক্তি ট্র্যাকিং চালু করেছেন কি না সেটা ডিভাইসের মালিক বুঝতেও পারবেন না। এতে করে অনেক অ্যাপ এবং ফোন অপারেটিং সিস্টেমের লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচার মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্র বা নিয়োগকর্তা দ্বারাও আপনার ফোনের ব্যবহার ট্র্যাকড হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে আপনার ডিভাইসটি কোম্পানি থেকে ইস্যু করা থাকে। এমনকি আপনার স্মার্টফোনটি যদি একটি করপোরেট নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রেও আপনাকে ট্র্যাকিং সম্ভব।
এ তো গেল একটি অংশ। অনেক অ্যাপে বিল্ট-ইন ট্র্যাকিং ফিচার থাকে। এই ফিচারগুলো প্রয়োজনের স্বার্থেই ব্যবহৃত হয়। যেমন আপনি কোনো ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করলে সেটি আপনার লোকেশন জানতেই চাইবে। ২০১৯ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি তদন্তে ২৫০টি আইফোন অ্যাপ পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা হয় যে পণ্য বা পরিষেবাগুলো ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করেছে কি না। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
যোগাযোগ পরিষেবা প্রদানকারী বা সিম কোম্পানিও ফোন ট্র্যাকিং করে। প্রতিটি ফোনই কোম্পানির মালিকানাধীন সেল টাওয়ারে ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য তথ্য পাঠায়। এটা এই নেটওয়ার্কের জন্য অনেক জরুরি। ফোন কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই আপনার অবস্থান যাচাই করতে হবে।