আজকের শীর্ষ সংবাদ

যেসব খাবার ইউরিক অ্যাসিড কমায়

Spread the love

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাব এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এর ভূমিকা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। ইউরিক অ্যাসিড একটি রাসায়নিক যা কিডনি দ্বারা ফিল্টার এবং নির্গত হয়। কোনো কারণে কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করতে না পারলে এর মাত্রা বেড়ে যায়।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় কিডনি সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তাই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে, আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। উপরন্তু, আপনি পণ্য তালিকা মনোযোগ দিতে হবে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে পায়ের গোড়ালি, হাঁটু, গোড়ালি ও পায়ে ব্যথা হয়। পরে অতিরিক্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিম্নের এই খাবারগুলো খাওয়া উচিত।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

শাকসবজি ফাইবার সমৃদ্ধ। যেমন: ডাল, ফল, সবজি, ওটস এবং বার্লি, মটরশুটি, কিডনি বিনস এবং আমিষজাতীয় পণ্য ইত্যাদি।

কলা

কলা খুবই স্বাস্থ্যকর এবং সহজলভ্য। বিভিন্ন গবেষণায় এর উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। এটি ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যার জন্য বিশেষভাবে সহায়ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত কলা খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কারণ কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও, পটাশিয়াম আছে, যা শরীরের কার্যকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আপেল

ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যা মোকাবেলায়ও আপেল বেশ কার্যকর। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা রক্ত ​​থেকে সহজেই ইউরিক অ্যাসিড শুষে নেয়। উপরন্তু, এতে ম্যালিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

টক খাবার

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা সাধারণত অ্যাসিডিক খাবার খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন: কমলালেবু, লেবু, চুন, কাঁচামরিচ ইত্যাদি।

বাদাম

বিশেষ জাতের যেমন ব্রাজিল বাদাম, বাদাম, ম্যাকাডামিয়া বাদাম এবং আখরোটে পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় কমাতে সাহায্য করে। ব্রাজিলে জন্মানো বাদামে মাত্র ৪০ মিলিগ্রাম পিউরিন থাকে। কিন্তু বাদাম, যা আমরা প্রায়ই রাস্তায় দেখতে পাই, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এড়ানো উচিত। কারণ এতে প্রতি কাপে ৮০ মিলিগ্রাম পিউরিন থাকে।

হলুদ

কারকিউমিন হলুদে থাকে যা প্রদাহ কমায়। এর ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা সহজ হয়। হলুদের নিয়মিত সেবন এই ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

জলপাই তেল

যখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক স্তরে ফিরিয়ে আনার কথা আসে, তখন জলপাই তেলকে হারানো কঠিন। অলিভ অয়েলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই মূত্রনালীর সংক্রমণ রোধ করতে শাকসবজি, সালাদ এবং পাস্তার ওপর অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

সবুজ চা

সবুজ চায়ে ক্যাটেচিন রয়েছে, যা প্রোটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ইউরিক অ্যাসিড কমাতেও সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *