ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলামের আগমনের পূর্বে বিশ্বের অধিকাংশ সমাজে নারীদেরকে পুরুষদের চেয়ে হীন মনে করা হতো। তাদেরকে সম্পত্তির মতো বিবেচনা করা হতো এবং তাদের কোনো অধিকার ছিল না।
ইসলাম নারীদেরকে সমাজের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইসলামে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, সম্পত্তির অধিকার, বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার ইত্যাদি ক্ষেত্রে পূর্ণ অধিকার প্রদান করা হয়েছে।
ইসলামে নারীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধিকার:
- শিক্ষা অধিকার: ইসলামে নারীদের শিক্ষা অর্জনের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করা সকল মুসলিম নারী-পুরুষের উপর ফরজ।”
- কর্মসংস্থানের অধিকার: ইসলামে নারীদের কর্মসংস্থানের অধিকার রয়েছে। তবে, তাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ইসলামী শরিয়তের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
- সম্পত্তির অধিকার: ইসলামে নারীদের সম্পত্তির অধিকার রয়েছে। তারা তাদের সম্পত্তি নিজের ইচ্ছাধীন ব্যবহার করতে পারে।
- বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার: ইসলামে নারীদের বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার রয়েছে। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদেরকে বিয়ে দেওয়া যাবে না।
- উত্তরাধিকারের অধিকার: ইসলামে নারীদের উত্তরাধিকারের অধিকার রয়েছে। পুরুষদের মতো নারীরাও তাদের পিতা, স্বামী, ভাই ইত্যাদির সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হতে পারে।
ইসলামে নারীদের মর্যাদার কিছু উদাহরণ:
- জান্নাতের মুখী: হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি তিন মেয়েকে সুন্দরভাবে লালন-পালন করে, তাদের শিক্ষা ও বিবাহের দায়িত্ব পালন করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।”
- জান্নাতের দরজা: হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সদয় আচরণ কর। কারণ তারা তোমাদের অধীনে বন্দী। তাদের তোমাদের সম্পদের অংশীদার করেছ। তাদের তোমাদের বিছানায় সঙ্গী করেছ। তাদের তোমাদের সন্তানের মা করেছ।”
ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ইসলাম নারীদেরকে সমাজের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তাদের পূর্ণ অধিকার প্রদান করেছেন। ইসলামের আলোয় নারীরা সমাজে তাদের যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান পেতে পারেন।