এটি একটি ক্রিয়েচার একে একটি ভাল সিনেমার প্লট হিসেবে ভাবলে সাই-ফাই মুভির প্রেক্ষাপটে ।
এটি স্রেফ একটি টুল।তবে আপনি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন।
সম্প্রতি এমনটাই বলেছেন কোম্পানিটির সিইও স্যাম অল্টম্যান। চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা ওপেনএআই কোনো এআই ‘ক্রিয়েচার’ বানাচ্ছে না।
যেখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্তটি ছিল যখন এআই নিয়ে মানুষের সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় অল্টম্যানকে। এ সুযোগ নিয়ে নেন তিনি। এআই নিয়ে এবার নিজস্ব ধারণা বর্ণনা করে অল্টম্যান বলেন, অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পরেন যে, এআই জ্যান্ত কিছু, না কি স্রেফ একটি টুল। এটি আসলেই মজার বিষয়। ভয়ের কিছু নয়।
“আমি মনে করি এআই সম্পর্কে সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা হল, এআই ক্রিয়েচার না কি টুল, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একে একটি ভাল সিনেমার প্লট হিসেবে ভাবলে সাই-ফাই মুভির প্রেক্ষাপটে এটি একটি ক্রিয়েচার। তবে আপনি চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন, এটি স্রেফ একটি টুল। (স্যাম অল্টম্যান)
এদিকে, সংবাদ সাইট ‘অ্যাডভোকেট’-এর এআইবিষয়ক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে নিখুঁত কোনো উদাহরণ উপস্থাপন করতে পারেননি তিনি।
এ প্রযুক্তিতে প্রায়ই ক্রিয়েচারের অনুভূতি পাওয়া যায়। ওপেনএআইয়ের যুগান্তকারী পণ্য চ্যাটজিপিটি এমনভাবে নকশা করা যাতে এর সঙ্গে কথোপকথনের সুবিধা পান ব্যবহারকারী। এমনকি এর প্রতিযোগী কোম্পানিগুলোও তাদের এ পদ্ধতি ব্যাপকভাবে অনুকরণ করছে।
বর্তমানে ভাল বা মন্দ কাজে অনেকেই এআইয়ের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। এদিকে, বিভিন্ন এআই ‘এজেন্ট’ সম্পর্কে এমন গুঞ্জন রয়েছে, এগুলো আপেক্ষিকভাবে নিজে নিজেই কাজ করতে পারবে — আর এমন প্রকল্পগুলো নিঃসন্দেহে ওপেনএআইয়ের প্রযুক্তির মাধ্যমেই চালিত হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বাইট।
অল্টম্যানের পরিভাষায় এমন বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ক্রিয়েচার না টুল, সেটা বলা কঠিন। তবে অল্টম্যান সম্পর্কে একটি বিষয় নির্দ্বিধায় বলা যায়— এ সম্পর্কিত পুরনো দৃষ্টান্তগুলো সঠিকভাবে আঁকড়ে ধরার আগেই নতুন কিছুর সূচনা করবেন তিনি।
One thought on “ওপেনএআই কোনো জ্যান্ত কিছু বানাচ্ছে না বললেন : স্যাম অল্টম্যান”