রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে র্যাবের অভিযানে ১২ জন দালাল আটক হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটকদের বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন এবং সানিয়া বিনতে আফজল।
সাত দিনের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সপাইপাড়ার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে জামাল হোসেন (৪০), লক্ষীপুরের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে সাবজাল হক (৫২), বহরমপুরের রফিকুল ইসলামের ছেলে মোতাসসিম রুপক (৩২), বগুড়ার আদমদিঘীর চাঁপাপুরের মৃত আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে রনি শেখ (২৫), নাচোলের মুরগিডাঙ্গার আবুল কালাম আজাদের ছেলে শাহিন আলম পিয়াস (২৪) ও নগরীর হোসনীগঞ্জ নিমরোজ আলীর ছেলে রাজন আলী (৩৫)।
এ ছাড়া সিপাইপাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সজল (৪২), মৈরুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫) ও কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রয়েল হোসেন অপুকে (৩২) চার দিন; কেশবপুরের মৃত লিটনের ছেলে মুরসালিনকে (২৪) পাঁচ দিন; ডাঁশপুকুরের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আহমদ আলী (৩০) ও নিয়ামপুরের আকেজীগঞ্জের আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. সোহেল রানাকে (২৪) তিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশের এলাকা থেকে সাধারণ মানুষের নিকট নিজেদেরকে হাসপাতাল এবং ডাক্তারদের কাছের লোক বলে পরিচয় প্রদান করত। রোগীদের উন্নত চিকিৎসা, রাজশাহী মেডিকেলে অল্প খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। এমনকি বিভিন্নভাবে রোগীদের হয়রানি করতো।
এ ছাড়া আজ সানবিম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। আর আল শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. ডাবলুকে ৫০ হাজার, রাজশাহী কিডনি ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বাচ্চু রহমানকে ২০ হাজার এবং মেডিকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক উম্মে মনিরাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।