আর মাত্র কয়েকদিন পর-ই রমজান । এরমধ্যেই বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে মাছ-মাংস ও সবজির দামও যেন আকাশচুম্বী। বিক্রেতারা বলেছেন, সরবরাহ সংকট আর ক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেট করে পেট মোটা করছেন ব্যবসায়ীরা।
![](https://mbangla.com/wp-content/uploads/2024/03/vegetable.png)
গত দুই সপ্তাহে কিছুটা হ্রাস পেলেও এই সপ্তাহে আবারও বেড়েছে সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কোন কোন সবজির দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা,শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা,গোলআলু ৩৫ টাকা,বরবটি ৮০ টাকা,মুলা ৩০ টাকা, শালগম ২৫ থেকে ৩০ টাকা,শসা ৬০ টাকা ও লতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা,খিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা,গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা,টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা,কপি ৮০ টাকা,চিচিঙ্গা ৬০ টাকা,ঝিঙ্গা ৮০ টাকা ও পেঁয়াজের কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, আকার অনুপাতে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও ব্রকলি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গত সপ্তাহে করলা ও ঢেড়শ বেঁচাকেনা হচ্ছে প্রায় ১০০-১৪০ টাকা ও ১২০ টাকা প্রতি কেজিতে।বিক্রেতারা জানান, বাজারে করলা ও ঢেঁড়শের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি।
দাম বেড়ে পাইকারিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা,পুঁইশাকের আঁটি ২৫ টাকা,কলমিশাকের আঁটি ১৫ টাকা,পালংশাকের আঁটি ১০ টাকা ও লাউ শাকের আঁটি ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
![](https://mbangla.com/wp-content/uploads/2024/03/murgi.png)
মুরগি ও গরুর মাসের বাজারও অধঃমুখী নয় বরং ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়।এতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৪০ টাকা,সোনালি মুরগি ৩৫০ টাকা,দেশি মুরগি ৫৮০-৬০০ টাকা,সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকায়।
দাম ঊর্ধ্বমুখী কেন প্রসঙ্গে বিক্রেতারা সবাই সবার বুলি আওড়ায়,”বাজারে সরবরাহ কমে গেছে অথবা পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়ছে।
ক্রেতারা জানান, রোজার আগে আবারো সবজি এবং নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে ক্রেতারা । বাজার সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের পকেট কাটছে। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে রোজায় অবস্থা আরও বেগতিক হবে।