আজকের শীর্ষ সংবাদ

টুপির বরকত

Spread the love
টুপির বরকত
টুপির বরকত

২৪. ইয়ারমুক যুদ্ধে হযরত খালিদ বিন ওলীদ রাযি.-এর টুপি হারিয়ে যায়। তিনি টুপির সন্ধানে সেনা-অভিযান পরিচালনা করেন। লোকেরা জানতে চায় এত গুরুত্ব সহকারে টুপির অনুসন্ধান কেন করছেন? হযরত খালিদ রাযি. বলেন, এই টুপিতে নবীয়ে আকরাম। এ-এর কেশ মোবারক আছে। যেই যুদ্ধে এই টুপি আমার সঙ্গে থাকে। সেই যুদ্ধে খোলা চোখে আল্লাহর মদদ দেখতে পাই।

-আল-এসাবাহ: ২১৮

বাদশাহী কাকে বলে?

২৫. এক সাহাবীর কাছে এক ব্যক্তি আপন অভাব-অনটনের অবস্থা বর্ণনা করে। সাহাবী প্রশ্ন করলেন, তোমার কি থাকার ঘর আছে, স্ত্রী আছেন? সে বলল, ঘরও আছে স্ত্রীও আছেন। সাহাবী বললেন, তবে তো তুমি ধনী। তখন সে বলল, আমার একটা গোলামও আছে। সাহাবী বললেন, তা হলে তো তুমি বাদশাহ হয়ে গেছ।

আমছালে ইবরাত: ২৩১

উত্তম-অনুত্তম

২৬. লোকমান হাকিমের মনিব তাকে বললেন, বকরি জবাই করে। উত্তম দুটি অঙ্গ আমার কাছে নিয়ে আসো। তিনি বকরি জবাই করে তার দিল ও জবান মনিবের কাছে পেশ করেন। মনিব আবার আদেশ করলেন অন্য একটি বকরি জবাই করে তার বাজে দুটি অঙ্গ নিয়ে আসো। তিনি বকরি জবাই করে এবারও দিল ও জবান তার নিকট নিয়ে আসলেন।

এটা দেখে মনিব জানতে চাইলেন, আমি উত্তম দুটি অঙ্গ চাওয়ায় তুমি যে দুটি অঙ্গ নিয়ে আসলে, বাজে অঙ্গ চাওয়ায় তা-ই আনলে ব্যাপার কী?

লোকমান হাকিম বললেন, “ওহে মনিব। দিল এবং জবানকে ভালো

আদর্শ জীবনের গল্প ২৮

রাখলে তাদের চেয়ে উত্তম কোন অঙ্গ হাতে পারে না। আর যদি এ দুটি বিগড়ে যায় তবে তাদের চেয়ে বাজে অঙ্গ পাওয়া কঠিন। এগুলো ভালো থাকলে সবচেয়ে ভালো, আর মন্দ হলে সবচেয়ে খারাপ।”

-কিতাবউ কি দরসগাহ মে। ৭১।

এটাও মুসিবত

২৭. একদিন রাতে নবীয়ে আকরাম সেরা-এর ঘরে বাতি নিভে যায়। তখন নবীজি এর বলেন, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ এটা শুনে হযরত আয়শা রাখি, বলেন, ‘ইন্না লিল্লাহ’ তো মুসিবতের সময় পড়া হয়, বাতি নিতে যাওয়া মুসিবত নাকি? এটাতো মামুলি ব্যাপার। নবীয়ে আকরাম তাকে বুঝিয়ে বলেন, যে বিষয় মুমিনের কষ্ট অথবা বিরক্তির কারণ হয়, তাকে মুসিবত বলে। অসময়ে বাতি নিভে যাওয়া বিরক্তির কারণ হয়ে থাকে, তাই এটাও মুসিবত।

-আমছালে ইবরাত: ১৮৬।

মুমিন দুশ্চিন্তামুক্ত

২৮. হযরত আলী রাযি-কে এক নাস্তিক বলে, কিয়ামত বলতে কিছুই নেই, মৃত্যুর পরে আর কোনো জীবন নেই। হযরত আলী রাযি, বলেন, তোমার ধারণাকে যদি সত্য মেনে নেই যে, মৃত্যুর পরে কেয়ামত সঙ্ঘটিত হবে না, তবে আমাদের কোন দুশ্চিন্তা নেই। কারণ কেয়ামতই যখন হবে না, তখন কেয়ামত হওয়ার বিশ্বাস রাখার কারণে আমাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে না। আর যদি আমাদের বিশ্বাস মতে কেয়ামত সঙ্ঘটিত হয়, তা হলে তোমাদের ক্ষতি নিশ্চিত। কারণ তোমরা শেষ-বিচারকে অস্বীকার করেছ।

ক্ষিধে অবশিষ্ট রাখা

-আমছালে ইবরাত: ৬৭।

২৯. শেখ সাদী রহ. লিখেছেন, মদীনাবাসীদের চিকিৎসার জন্য এক খ্রিস্টান রাজা নবীয়ে আকরাম-এর দরবারে একজন চিকিৎসক পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু নবী আকরাম সেই চিকিৎসককে গ্রহণ করেননি। বরং এই বার্তাসহ ফিরিয়ে দেন

“আমরা ক্ষিধে না পাওয়া পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করি না। আর (অল্প) ক্ষিধে অবশিষ্ট রেখে খাওয়া শেষ করে ফেলি। তাই আমাদের (মদীনাবাসীদের) চিকিৎসকের প্রয়োজন নেই।”

-উস্তাদ আওর শাগরেদ কে হুকুক: ১৫৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *