চট্টগ্রাম নগরীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আটজন।
নিহতের নাম মোহাম্মদ রিয়াদ (২৬)। গতকাল মধ্যরাতে চান্দগাঁও থানার হামিদচর কর্ণফুলী রিভারভিউ রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ ইকবালের অনুসারীদের সঙ্গে মোহাম্মদ বাবুল নামে আরেক স্থানীয় ব্যক্তির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক সহযোগীসহ বাবুলকে আটক করে। নিহত রিয়াদ ওই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ছিলেন। আহতরা সবাই ইকবালের অনুসারী।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নগরীর হামিদচর বেড়িবাঁধ এলাকায় বিভিন্ন সময় সংঘর্ষ হচ্ছে। গত মাসে এমন ঘটনার জেরে গতকাল রাতে বাবুল তার অনুসারীদের হামিদচর এলাকায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ইকবালের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত হয়েছেন আটজনের মতো।
আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিয়াদের মৃত্যু হয়। ছয়জন এখনও চিকিৎসাধীন। তারা হলেন মোঃ বাবু (২১), মোঃ হাসান (২৫), আবুল কাশেম (৫৫), মোঃ সোহেল (২৮), মোঃ ইলিয়াস (২০) ও মোঃ রুবেল (৩৫)।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলো</em>কে বলেন, গত মাসে ইকবালের রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারীকে বাবুলের অনুসারীরা মারধর করে। বাবুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এটি বর্তমানে তদন্তাধীন।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আহত বাবুল ও তার সহযোগী আব্দুর রাজ্জাককে শহরের একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে। সংঘর্ষে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জানতে চাইলে চান্দগাঁও পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল আজ সকালে বলেন, সন্ত্রাসী বাবুল তার লোকজন নিয়ে আমার রেস্টুরেন্টে হামলা চালায়।
অভিযোগের বিষয়ে বাবুল বা তার পক্ষের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।