আজকের শীর্ষ সংবাদ

সূরা ফাতিহার বিশেষণ

সূরা ফাতিহার বিশেষণ
Spread the love

সূরা ফাতিহাকে বিশ্বনবি বলেছেন- ‘উম্মুল কুরআন’ বা ‘কুরআনের মা’। মা যেমন সন্তানের জীবনকে পূর্ণ ও সার্থক করে তোলেন, তেমনি সূরা ফাতিহার শাশ্বত বাণীও কুরআনকে পূর্ণতা দিয়েছে। আরবিতে ‘উম্ম’ শব্দটি মা অর্থে যেমন ব্যবহৃত হয়, ঠিক তেমনি কোনো কিছুর কেন্দ্রবিন্দু, চুম্বকাংশ, সারনির্যাস অথবা সারমর্ম অর্থেও ব্যবহৃত হয়। তাহলে উম্মুল কুরআনের অর্থ হচ্ছে- কুরআনুল কারিমের কেন্দ্রবিন্দু, চুম্বকাংশ, সারনির্যাস বা সারমর্ম, The epitome of the book, The Pure essence of the book। আল্লাহ তায়ালা পুরো কুরআনের ত্রিশ পারায় যা উল্লেখ করেছেন, তার সারনির্যাস রেখে দিয়েছেন সূরা ফাতিহায়।

সূরা ফাতিহার আরেকটি নাম হলো- ‘ওয়াফিয়া’ বা ‘পূর্ণাঙ্গ’। এই সূরাটি একসঙ্গে পুরোটা পড়তে হয়, খণ্ড খণ্ডরূপে পড়া যায় না। কেউ প্রথম রাকাতে সূরাটির তিন আয়াত এবং পরের রাকাতে চার আয়াত-এভাবে পড়তে পারবে না; পড়লেও সেটা বিশুদ্ধ হবে না। কিন্তু কুরআনের অন্যান্য সূরা খণ্ডিতভাবে নামাজে তিলাওয়াত করা যায়। যেমন: কেউ প্রথম রাকাতে সূরা আর-রহমানের প্রথম দশটি আয়াত তিলাওয়াত করল, আর দ্বিতীয় রাকাতে বাকি আয়াত- এটা জায়েজ, কিন্তু সূরা ফাতিহার ক্ষেত্রে এমনটা জায়েজ নেই। এজন্য এই সূরাকে ওয়াফিয়া বা পূর্ণাঙ্গ বলা হয়।

এই সূরার আরেকটি নাম হচ্ছে ‘সূরাতুদ-দুআ’ অর্থাৎ প্রার্থনার সূরা। কীভাবে মহামহিম আল্লাহর কাছে দুআ করতে হয়, ফরিয়াদ করতে হয়, মহান রবের কাছে চাইতে হয়-সেটা এই সূরার মধ্যে নিহিত রয়েছে। এই সূরায় আমরা প্রতিনিয়ত বলে থাকি- اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ-)হে আল্লাহ) আমাদের সরল-সঠিক পথ দেখান।’

অর্থাৎ আমরা যেন বলি-হে আল্লাহ! আমরা যদি কখনো পথ ভুলে যাই কিংবা বিপথগামী হই, তাহলে আপনি আমাদের পথ দেখান এবং সুপথে পরিচালিত করুন। যদি কখনো পথভ্রষ্ট হই, আপনার দ্বীনবৃক্ষের সুশীতল ছায়াতলে আমাদের স্থান দিন, যেন সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সর্বদা আপনার দ্বারস্থ হতে পারি। পৃথিবীর কোনো শক্তিই যেন আপনার দেখানো পথ থেকে আমাদের বিচ্যুত করতে না পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *