আজকের শীর্ষ সংবাদ

খেজুর খান।খেজুরের অলৌকিক ক্ষমতা জেনে নিন

খেজুর খান।খেজুরের অলৌকিক ক্ষমতা জেনে নিন
Spread the love

খেজুর একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকও রয়েছে এতে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

এক.

যে ঘরে খেজুর নেই সে ঘরের অধিবাসীরা অভুক্ত।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَيْتٌ لَا تَمْرَ فِيهِ، جِيَاعٌ أَهْلُهُ

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ঘরে খেজুর নেই সে ঘরের অধিবাসীরা অভুক্ত।

আবু দাউদ-৩৮৩১

দুই.

খেজুর ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক,

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ شَبِعْنَا مِنَ الأَسْوَدَيْنِ التَّمْرِ وَالْمَاءِ‏

আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন, তখন আমরা দু’টো কালো জিনিস দিয়ে তৃপ্ত হতাম- খেজুর এবং পানি।

বুখারী-৫৪৪২

তিন.

সাহরীতেও খেজুর খান,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: نِعْمَ سَحُورُ الْمُؤْمِنِ التَّمْرُ

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঈমানদার ব্যক্তির জন্য খেজুর দিয়ে সাহারী খাওয়া কতোই না উত্তম!

আবু দাউদ-২৩৪৫

চার.

খেজুর দিয়ে ইফতার।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ ‏ “‏ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُفْطِرُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى رُطَبَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَتُمَيْرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تُمَيْرَاتٌ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মাগরিবের) নামায আদায়ের পূর্বেই কয়েকটা তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। তিনি তাজা খেজুর না পেলে কয়েকটা শুকনো খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন আর শুকনো খেজুরও না পেলে তবে কয়েক ঢোক পানি পান করতেন।

তিরমিজি-৬৯৬

পাচ.

খেজুর যেহেতু গরম খাদ্য, তাই এটার সাথে শসা মিশিয়ে খেতে পারেন।

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَ يَأْكُلُ الْقِثَّاءَ بِالرُّطَبِ

আব্দুল্লাহ ইবনু জা‘ফার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাজা খেজুরের সাথে শসা খেতেন।

আবু দাউদ-৩৮৩৫

ছয়.

খেজুরের সাথে তরমুজ খেতে পারেন, তাহলে তাহলে তরমুজের ঠান্ডা কে খেজুরের গরম নিয়ন্ত্রণ করবে ইনশাআল্লাহ।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَأْكُلُ الْبِطِّيخَ بِالرُّطَبِ فَيَقُولُ: نَكْسِرُ حَرَّ هَذَا بِبَرْدِ هَذَا

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাজা খেজুর দিয়ে তরমুজ খেতেন। তিনি বলতেনঃ এর ঠান্ডা ওটার গরম কমাবে এবং এর গরম ওটির ঠান্ডা কমিয়ে দিবে।

আবু দাউদ-৩৮৩৬

সাত.

খেজুর খাওয়ার আগে খুঁজে দেখতে হবে পোকা আছে কিনা।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَمْرٍ عَتِيقٍ فَجَعَلَ يُفَتِّشُهُ يُخْرِجُ السُّوسَ مِنْهُ

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পুরাতন খেজুর পরিবেশন করা হলে তিনি তা ছিঁড়ে এর মধ্য থেকে পোকা খুঁজে বের করতে থাকেন।

আবু দাউদ-৩৮৩২

আট.

সামর্থ্য থাকলে আজওয়া খান,

আজওয়া হলো বেহেশতি খাদ্য।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا الْكَمْأَةُ جُدَرِيُّ الأَرْضِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ وَالْعَجْوَةُ مِنَ الْجَنَّةِ وَهِيَ شِفَاءٌ مِنَ السُّمِّ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু সাহাবী বলেন, ছত্রাক হলো যমীনের বসন্ত রোগ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ছত্রাক হলো মান্নের অন্তর্ভুক্ত এবং এর পানি চক্ষুরোগের প্রতিষেধক। আজওয়া হলো বেহেশতের খেজুরের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা বিষের প্রতিষেধক।

তিরমিজি- ২০৬৮

নয়.

সাতটি আজওয়া খাওয়ার উপকারিতা।

أَخْبَرَنَا عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّه“ فِي ذ‘لِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ

সা‘দ তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোন বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না।

বুখারী-৫৪৪৫

দশ.

সারা বছর সকালে সাতটি আজওয়া খাওয়ার চেষ্টা করেন।

عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ أَكَلَ سَبْعَ تَمَرَاتٍ مِمَّا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا حِينَ يُصْبِحُ لَمْ يَضُرَّهُ سُمٌّ حَتَّى يُمْسِيَ

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ্ ইবনু কা’নাব (রহঃ) ….. সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক মাদীনার উভয় সীমান্তের মধ্যে উৎপাদিত খেজুরের সাতটি করে প্রতি সকালে আহার করে সন্ধ্যা অবধি কোন বিষ তার অনিষ্ট করতে পারে না।

মুসলিম-২০৪৭(আন্তর্জাতিক নম্বর)

খেজুর, মধু, কালোজিরা প্রতিটি মুসলিমের ঘরে প্রতিদিন থাকা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *