সাত লাখ মুসলমান নারী পুরুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা
খলিফা ওয়ালিদ বিন আব্দুল মালিকের আমলে তারিক বিন জিহাদের নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী স্পেন জয় করেছিল। তাদের সংখ্যা ছিল .১২০০০।এই ১২হাজারের মোকাবিলায় খ্রিষ্টান রাজা রডারিক এক লক্ষ সৈন্য নিয়ে মোকাবেলায় অবতীর্ণ হয়েছিল। অবশেষে পড়াজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে সমুদ্রের ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছিল। তখন থেকে একাধারে ৮ শত বছর পর্যন্ত মুসলমানরা স্পেন শাসন করেছিল।
তৎকালীন স্পেনের রাজধানী কর্ডোভয় মুসলমানরা যে মসজিদ নির্মাণ করেছিল, তার ১৪১৭টি খুঁটি ছিল, মসজিদে যে প্রদীপ জ্বলতো সেগুলোতে বার্ষিক তৈল খরচ হতো প্রায় ৩১৪ মন। বছরে সাড়ে তিন মন এবং মন তৈরিতে সাড়ে ৩৪ শের সুতো লাগতো। প্রতি জুমাআর দিনে আধাশের চন্দন কাঠ ও এক পোয়া আম্বর জালানো হতো মসজিদ সুগন্ধময় করার জন্য।
যে মসজিদের একসময় এক লক্ষ মানুষ একসাথে নামাজ পড়তে পারতো সেখানে আজ দুই রাকাত নফল পড়ারও সুযোগ হয় না। একসময় মুসলমানদের সৌর বীর্যের প্রতীক আজকে সে স্পেন ক্রিস্টানদের সর্গরাজগু। কিন্তু মুসলমানগণ যখনই কোরআনের উপর আমল ছেড়ে দিল, পারথিব ধন দৌলতের মোহে, ভোগ বিলাসিতায় মত্ত হয়ে পড়ল, তখন আল্লাহ তাদের অন্তরে ওহান পয়দা করে দিলেন অর্থাৎ তারা দুনিয়াকে মহব্বত করতে লাগলো এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করতে শুরু করলো।
অবশেষে অত্যন্ত নির্মম নির্যাতিত নিপীড়িত ও নিগৃহীত অবস্থায় রাজা ফাজিল্যান্ড ও রানী ইসাবেলা সাত লাখ মুসলমান নারী পুরুষকে মসজিদের মধ্যে অবরুদ্ধ করে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে চিরদিনের জন্য মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করেছিল। আজ গোটা খ্রিস্ট জগত সে দিনটিকে এপ্রিল ফুল হিসেবে পালন করে। আত্মভোলা মুসলমান জ,জাতিও তাদের অনুসরণ করে।(নাউজুবিল্লাহ)
তাই অবশ্যই আমাদের কোরআনের অনুসরণ করতে হবে। আমরা যেন কোরআনকে ভুলে না যাই সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝার এবং কোরআন মেনে চলার এবং দুনিয়াবী লোক লালসা থেকে হেফাজত করুন আল্লাহুম্মা আমীন।।