রোজা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম। রমজান মাসের পুরো মাস ধরে ভোরের আলো ফোটার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখা ফরজ।
রোজা আমাদের সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক জীবনে অনেক বেশি পরিবর্তন এনে দেয়।
- রোজা একজন মুসলিমকে পাপাচার থেকে বিরত রাখে। রোজার সময় একজন মুসলিম মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা, গীবত করা, ঝগড়া করা ইত্যাদি পাপাচার থেকে বিরত থাকে।
- রোজা একজন মুসলিমকে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ দেখায়। এর মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে।
- রোজা আত্মার পরিশুদ্ধি করে। এর মাধ্যমে একজন মুসলিম তার নফসের জাগতিক ইচ্ছা থেকে মুক্তি পায় এবং আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করে।
- শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্যও উপকারী। রমজান মাস যথাযথ পালনের মাধ্যমে শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় এবং মানসিক প্রশান্তি লাভ হয়।
- সিয়াম পালন একজন মুসলিমকে দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শেখানোর পাশাপাশি তাদের প্রতি দান করতে উৎসাহিত করে।
সিয়াম পালন করতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরি।
- সেহরি: ভোরের আলো ফোটার পূর্বে সেহরি খাওয়া রোজার সুন্নাহ।
- নিয়ত: রোজা রাখার পূর্বে নিয়ত করা জরুরি।
- সাবধানতা: রোজার সময় মিথ্যা বলা, পরনিন্দা করা, গীবত করা, ঝগড়া করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা জরুরি।
- ইফতার: সূর্যাস্তের পর ইফতার করা রোজার সুন্নাহ।
- তারাবিহ: রমজান মাসে রাতের বেলা তারাবিহ নামাজ পড়া সুন্নাহ।
রোজা শুধুমাত্র আত্মার পরিশুদ্ধি ও আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের পথ নয়, বরং এর মাধ্যমে একজন মুসলিম শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাও লাভ করে। সিয়াম পালন করে নিয়ম-কানুন মেনে চলে একজন মুসলিম রোজার পূর্ণ ফজিলত লাভ করতে পারে।