আজকের শীর্ষ সংবাদ

মাহে রমজান পালনের হুকুম ও ফজিলত সম্পর্কে কিছু হাদিস

Spread the love

রোযা সম্পর্কিত হাদিস

বাছাইকৃত  হাদিসের কিতাব থেকে

সহীহ বুখারী
হাদিস নং- ১৭৮৫ ( আন্তর্জাতিক নং- ১৯০৬ )
১১৯৪. নবী করীম (ﷺ) এর বাণীঃ যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন রোযা শুরু করবে আবার যখন চাঁদ দেখবে তখন ইফতার বন্ধ করবে। সেলা (রাহঃ) ‘আম্মার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিনে রোযা পালন করল সে আবুল কাসিম (ﷺ) এর নাফরমানী করল।

পরিচ্ছেদঃ ১১৯৪. নবী করীম (ﷺ) এর বাণীঃ যখন তোমরা চাঁদ দেখবে তখন রোযা শুরু করবে আবার যখন চাঁদ দেখবে তখন ইফতার বন্ধ করবে। সেলা (রাহঃ) ‘আম্মার (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিনে রোযা পালন করল সে আবুল কাসিম (ﷺ) এর নাফরমানী করল।

১৭৮৫। ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) … ’আব্দুল্লাহ ইবনে ‘উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমযানের কথা আলোচনা করে বললেনঃ চাঁদ না দেখে তোমরা রোযা পালন করবে না এবং চাঁদ না দেখে ইফতার বন্ধ করবে না। যদি মেঘাছন্ন থাকে তাহলে তাঁর সময় (ত্রিশ দিন) পরিমাণ পূর্ণ করবে।
بَاب قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَأَيْتُمْ الْهِلَالَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا وَقَالَ صِلَةُ عَنْ عَمَّارٍ مَنْ صَامَ يَوْمَ الشَّكِّ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ ” لاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوُا الْهِلاَلَ، وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ “.
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)হাদিসের ব্যাখ্যাবর্ণনাকারী: আব্দুল্লাহ্‌ ইবনু উমর (রাঃ) (মৃত্যুঃ ৭৩ হিজরি)

 

সহীহ মুসলিম
হাদিস নং- ২৩৬৬ ( আন্তর্জাতিক নং- ১০৭৯ – ১ )
১. রমযান মাসের ফযীলত
পরিচ্ছেদঃ ১. রমযান মাসের ফযীলত
২৩৬৬। ইয়াহইয়া ইবনে আইয়ূব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) … আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, রমযান মাস এলে জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলবন্ধী কর হয়।
باب فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِذَا جَاءَ رَمَضَانُ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ وَصُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ ” .
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)হাদিসের ব্যাখ্যাবর্ণনাকারী: আবু হুরায়রা (রাঃ) (মৃত্যুঃ ৫৭/৫৮/৫৯ হিজরি)

সহীহ বুখারী
হাদিস নং- ১৭৭৭ ( আন্তর্জাতিক নং- ১৮৯৮ )
১১৮৭. রমজান বলা হবে, না রমযান মাস বলা হবে? আর যাদের মতে উভয়টি বলা যায়। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের রোযা পালন করবে এবং আরো বলেছেনঃ তোমরা রমযানের আগে রোযা পালন করবে না

জামে’ তিরমিযী
হাদিস নং- ৬৮২ ( আন্তর্জাতিক নং- ৬৮২ )

রমযান মাসের ফযীলত।
পরিচ্ছেদঃ রমযান মাসের ফযীলত।
৬৭৯. আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা ইবনে কুরায়ব (রাহঃ) ….. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রমযান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্ট জ্বীনদের শৃঙখলাবদ্ধ করে ফেলা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও আর বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে। – ইবনে মাজাহ ১৬৪২

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ ইবনে মাসউদ ও সালমান (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ. وَفُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَيُنَادِي مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ ” . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَسَلْمَانَ .
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)হাদিসের ব্যাখ্যাবর্ণনাকারী: আবু হুরায়রা (রাঃ) (মৃত্যুঃ ৫৭/৫৮/৫৯ হিজরি)

সুনানে ইবনে মাজা’
হাদিস নং- ১৬৪২ ( আন্তর্জাতিক নং- ১৬৪২ )

 

সহীহ বুখারী
হাদিস নং- ১৭৭৫ ( আন্তর্জাতিক নং- ১৮৯৬ )
১১৮৬. রোযা পালনকারীর জন্য রায়্যান নামক দরজা
পরিচ্ছেদঃ ১১৮৬. রোযা পালনকারীর জন্য রায়্যান নামক দরজা
১৭৭৫। খালিদ ইবনে মাখলাদ (রাহঃ) … সাহল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেনঃ জান্নাতে রায়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোযা পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাঁদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোযা পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাঁরা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাঁদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে।
باب الرَّيَّانُ لِلصَّائِمِينَ
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو حَازِمٍ، عَنْ سَهْلٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ” إِنَّ فِي الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ، يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، لاَ يَدْخُلُ مِنْهُ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَقُومُونَ، لاَ يَدْخُلُ مِنْهُ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ، فَإِذَا دَخَلُوا أُغْلِقَ، فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ “.
তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)হাদিসের ব্যাখ্যাবর্ণনাকারী: সাহল ইবনে সা’দ সাঈ’দী (রাঃ) (মৃত্যুঃ ৯১ হিজরি)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *