ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ৩ মার্চ রোববার এ তথ্য জানায় দেশটির সংবাদমাধ্যম। ইরানের রাষ্ট্রয়ত্ত টিভি চ্যানেল জানায়, এ গুপ্তচর গত বছর ইস্ফাহানে “প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কমপ্লেক্সের একটি ওয়ার্কশপে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।”-এএফপি
একটি পাশ্ববর্তী দেশ থেকে তাকে ধরে আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইরান। ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ইস্ফাহানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অবকাঠামোতে হামলার ঘটনা ঘটে। তবে ওই হামলা ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছিল ইরান এবং এর জন্য তারা ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল । যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে ওই সময় পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ওই ড্রোন হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল ইসরায়েল।
তবে এই ইসরায়েলি গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কবে কখন কার্যকর করা হয়েছে এবং তার পরিচয় কি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু জানানো হয়নি। ইরানের প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, এই হামলা পরিকল্পনার প্রধান ক্রীড়ানককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি এবং খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বলেও দাবি করেছিল ইরান।
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের শত্রুতা বেশ পুরোনো । এমনকি ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটিতে যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবেও আর স্বীকৃতি দেন না। ইসরায়েলকে ইসরায়েল হিসেবে অভিহিত করার পরিবর্তে ‘ইহুদিবাদী হিসেবে অভিহিত করেন তারা। অপরদিকে ইসরায়েল ইরানকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে। মূলত এ কারণে প্রায়ই ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে তারা।