মসজিদ সুন্নী বানানোর জন্য যা করণীয় সংক্ষেপে তা নিম্নে পেশ করা হল।
১. মসজিদ শুরুর সীমানা নির্ধারণ করে দিবে, যাতে নতুন লোকেরাও সঠিক স্থান থেকে মসজিদে ঢোকার ও বের হওয়ার দু‘আ পড়তে সক্ষম হয়। অনেক মসজিদে এ ব্যাপারে পেরেশানী উঠাতে হয়। বারান্দা মসজিদে শামিল কিনা বুঝা যায় না। সুতরাং কোন খাম্বা ইত্যাদিতে লিখে রাখতে হবে যে, “মসজিদ এখান থেকে শুরু।” (ইবনে মাজা হাদীস নং ৭৭৩)
২. মসজিদের গেইটে মসজিদে ঢোকার দু‘আ লিখতে চাইলে পূর্ণ তিনটা বা ইস্তিগফারসহ চারটা লিখবে। অনুরূপভাবে বের হওয়ার সময়ে সবগুলো দু‘আ লিখবে। বর্তমানে প্রায় মসজিদে ঢোকা ও বের হওয়ার একটা করে দু‘আ লিখা হয়। এরূপ করা ঠিক নয়। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। লোকেরা মনে করে মাত্র এটুকুই মসজিদে ঢোকার ও বের হওয়ার দু‘আ। (ইবনে মাজা হাদীস নং ৭৭১, তিরমিযী হাদীস নং ৩১৪)
৩. মসজিদের উযূ খানা এমনভাবে নির্মাণ করবে যাতে পানি অপচয় না হয়, নতুবা এর গুনাহ প্রত্যেক মুসল্লী পৃথক ভাবে পাবে। আর মসজিদ কর্তৃপক্ষের উপর গুনাহের সমষ্টি বর্তাবে। (সূরায়ে বনী ইসরাঈল আয়াত নং ২৭)
এ উযূ দ্বারা নামায জায়িয হলেও অপচয়ের কারণে তা হারাম উযূতে পরিণত হয়। সুতরাং মসজিদের হাউজ থাকা ভাল। আর যদি টেপ সিস্টেম হয় তাহলে হয়ত তার সাথে বদনা রাখবে অথবা এমন টেপ লাগাবে যেখানে হাত সরানোর সাথে সাথে পানি বন্ধ হয়ে যায় । অথবা লিখিত ভাবে এবং মৌখিকভাবে মুসল্লীদের বার বার বুঝাতে থাকবে যাতে তারা উযূ করার সময় টেপ প্রয়োজন মত বার বার খুলবে এবং বার বার বন্ধ করবে। একবার খুলে উযূ সম্পন্ন করতে চেষ্টা করবে না। তাহলে আশা করা যায় পানির অপচয় বন্ধ হবে। (সূরা মায়িদা: ২, তিরমিযী: হা: নং ২৬৭৫)
৪. মসজিদের মুসল্লীদের খেদমত ও আরামের জন্য প্রত্যেক মসজিদের নিজস্ব পেশাবখানা ও পায়খানা থাকা জরুরী। মসজিদ কমিটির জন্য এর ব্যবস্থা করা একান্ত জরুরী।