২০১৯ সালে প্রণয়ন করা বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চার বছর পর কার্যকর করেছে ভারত সরকার। সমালোচকরা এই আইনটিকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে দাবি করে আসছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সোমবার (১১ মার্চ) আইনটি কার্যকরের নোটিশ জারি করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। নির্বাচনে তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়বেন মোদি। এ খবরটি জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, মোদি সরকার সিএএ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। বিজেপির ২০১৯ সালের ইশতেহারের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এ টি। এর ফলে নিপীড়িতদের ভারতের নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ পাবে।
২০১৯ সালে পাস হওয়া আইন অনুসারে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা (হিন্দু, পারসি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিষ্টান) ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। আপাতত ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নেওয়া এই সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে জানা গেছে।
প্রতিবাদ ও নয়াদিল্লি সহ বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর আইনটি ওই সময় প্রণয়ন করলেও তা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কার্যকর করেনি।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর হবে।
মুসলিম গোষ্ঠীগুলো বলছে, সমন্বিতভাবে সিএএ ও প্রস্তাবিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন (এনআরসি) ২০ কোটি মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক। তাদের এই নিয়ে আশঙ্কা হচ্ছে যে, সীমান্তবর্তী কয়েকটি রাজ্যে নথিহীন মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে সরকার।
আইনটি মুসলিমবিরোধী বলে মানতে রাজি নয় ভারত সরকার। তাদের দাবি, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুদের সহযোগিতার জন্য আইনটি প্রয়োজন।