এক সময় ক্ষমতার উৎস রাজা হলেও এখন রাজার পথটি কেবলই অলঙ্কারিক। রাজা যদিও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান তবুও তার বেশিরভাগ ক্ষমতায় আসলে প্রতিকী, আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
রাজা তৃতীয় চার্লস রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরপরই যুক্তরাজ্যের রাজা হয়েছেন। ৬ই মে লন্ডনে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজমুকুট উঠবে তার শিরে।
রাজা কি করেন কি করবেন তা বিস্তারিত জানানো হলো।
রাজা কি করেন?
প্রতিদিন ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে একটি লাল চামড়ায় মোড়া বাক্সে কাজের ফিরিস্তি ও নথিপত্র আসে। যার মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ সভার সারসংক্ষেপ থাকে, সাক্ষর এর জন্য পাঠানো বিভিন্ন নথিপত্রও থাকে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বাকিংহামে সাধারণত প্রতি
সপ্তাহের বুধবারে দেখা করতে যান এবং সরকারের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্কে জানান।
এসব বৈঠকের কোন আনুষ্ঠানিক রেকর্ড রাখা হয় না।
এছাড়াও পার্লামেন্টের জন্য কিছু আনুষ্ঠানিক কাজ করতে হয় রাজাকে।
স্টেট ওপেনিং ও রাজার ভাষণ: রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাজা স্টেট ওপেনিং সেরেমনির মাধ্যমে পার্লামেন্টরি বছর শুরু হয়। ওই অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার দিক তুলে ধরেন। হাউস অফ লর্ডসের সিংহাসন থেকে এই ভাষণ দিয়ে থাকেন।
সরকার নিয়োগ করা: সাধারণ নির্বাচনে জয়ী রাজনৈতিক দলের দল নেতাকে বাকিংহাম প্যালেসে ডাকা হয় এবং সরকার গঠন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাছাড়া নির্বাচনের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সরকার ভাঙার কাজটিও করতে হয়।
রাজার সম্মতি: যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিধি-বিধান পাশ করার পর তা আইনে পরিণত করতে হলে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজার সম্মতি প্রয়োজন।
লন্ডনের সেলুট আছে প্রতিবছর পরে বার্ষিক স্বরণ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব ব্রিটেনের রাজা।
তাছাড়া বাইরের দেশের আতিথেয়তা করার কাজটিও করে থাকেন। তিনি নিয়মিত যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাথে সাক্ষাৎ দিয়ে থাকেন।
ব্রিটেনের রাজার আরেকটি বড় দায়িত্ব বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কমনওয়েলথের নেতৃত্ব দেওয়া।
এছাড়াও বিশ্বের ১৪ টি দেশ ও অঞ্চলের রাষ্ট্রপ্রধান রাজা ব্রিটেনের রাজা।