আজকের শীর্ষ সংবাদ

হারামের পরিণতি

হারাম মাল দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাতে যাবে না
Spread the love

হারাম মাল দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাতে যাবে না

 আরামবাল দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাতে যাবে না, বরং তা জাহান্নামের ওই অধিক উপযুক্ত. ।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ

لا يدخل الجنه لحم نبت من السحت وكل لحم نبت من السحت كانت النار اولى به

হারাম উপায়ে অর্জিত সম্পদ দ্বারা উৎপন্ন প্রত্যেক গোশত জাহান্নামেরই উপযুক্ত।

  মানুষ যখন আহার করে তখন এ আহার্য খাদ্যদ্রব্য থেকে মানুষের শরীরে রক্ত মাংস বৃদ্ধি পায় এবং তার সমস্ত শরীরে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বত্রই এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। খানা খারাপ হলে চোখ দিয়ে হারাম জিনিস দেখে, কান দিয়ে হারাম কথা শুনে হাত দিয়ে হারাম জিনিস ধর্‌ পা দিয়ে হারাম জায়গায় গমন করে।

হারাম মাল দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাতে যাবে না
হারাম মাল দ্বারা গঠিত শরীর জান্নাতে যাবে না

আর খানা হালাল হলে চোখ দিয়ে হালাল জিনিস দেখে কান দিয়ে ভালো কথা শুনে, জবান দিয়ে ভালো কথা বলে, হাত দিয়ে ভালো জিনিস ধরে আর পা দিয়ে ভালো জায়গায় গমন করে। এজন্য বলা হয়েছে,  উত্তম তাকওয়া হচ্ছে হারামকে বর্জন করা। হারাম থেকে রুহ ও দেহকে মুক্ত করা। হারাম খেয়ে দুয়া করলে যেমন দুয়া কবুল হয় না। তেমনি হারাম পোশাক শরীরে থাকা অবস্থায় কোন ইবাদত কবুল হয় না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেনঃ

من اشترى صوبا بعشره دراهم وفيه درهم حرام لم يقبل الله تعالى له صلاه ما دام عليه

 যে ব্যক্তি ১০ দিরহামে একখানা কাপড় ক্রয় করে করে, যার মধ্যে মাত্র একটি দিরহাম  হারাম থাকে, তার পরিধানে সে কাপড় থাকা পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তাঁর নামাজ কবুল করেন না।

অতএব আসুন, আমরা এখন থেকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করি  যে, আমরা জীবনে কখনো হারাম  উপার্জন করব না, হারাম খাব  না , আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে হারাম খাওয়াবো না । বাবা-মা হারাম খেলে ছেলেমেয়েরাও হারাম খাবে এটাই স্বাভাবিক ।

 হাকিমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর রহিমাহুল্লাহ বলেন , এক ব্যক্তি বিবাহ করার কিছুদিন পর যখন তার স্ত্রী স্বামীকে তার গর্ভধারণের সংবাদ দিল। তখন একদিন স্বামী স্ত্রী বসে দুজনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো যে , এখন থেকে আমরা কখনো হারাম বা সন্দেহজনক কিছু খাব না । আমরা হারাম খেলে তার প্রভাব সন্তানের উপর পড়বে । সে মোতাবেক খুব সাবধান ও সতর্ক হয়ে চলতে থাকলো ।

  এত মধ্যে স্ত্রী একটা পুত্র সন্তান প্রসব করল। সন্তান ধীরে ধীরে বড় হয়ে উঠছে। যখন পিতার সাথে চলাফেরার উপযুক্ত হলো, তখন একদিন বাপ-বেটা বাজারে চলছে । পথের পাশে এক লোক ঝুড়িতে বরই নিয়ে বসে আছে । বড়ই এর শুরুতে থাকা মেরে একটা বড়ই নিয়ে খেয়ে ফেলল। পিতা ছেলের কান্ড দেখে হতবাক।। এরপর সে সোজা ঘরে ফিরে এসেছি একটা ছুরি নিয়ে ধার  দিয়েছে ।

এবার স্ত্রীকে ডেকে বলছে, সত্য কথা বল্‌, না হলে তোমাকে মেরে ফেলবো। স্ত্রী বলল কারণ কি খুলে বল। তখন সে রাস্তায় তার রাস্তার ঘটনা বলল। তখন স্ত্রী বলল শোনো আমার একটা ভুল হয়েছে। একদিন এই ছেলে আমার বেঁচে থাকতে আমি ঘরের আঙ্গিনায় ঘোরাফেরা করচিলাম। এমন সময় দেখি প্রতিবেশীর বড়ই গাছের একটা ডাল আমাদের চালের উপর এসে পড়েছে, তখন আমি সম্পূর্ণ বেখেয়ালে একটি বড়ই ছেলে মুখে দিয়েছিলাম। হয়তো সে কারণে আজ আমার ছেলে এই কান্ড ঘটিয়েছে। তখন স্বামী বলল, আর কোন কারণ নয় এজন্যই আজ ছেলে অন্যের ঝুড়িতে হাত দিয়েছে।

মোটকথা শরীয়তে নিষিদ্ধ হারাম খাদ্য যেই খাবে এ হারামের একটা প্রভাব তার অন্তরে পড়বে। যেমন যারা শুকর খায় তারা নির্লজ্জ বেহায়া হয়। যেখানে সেখানে জীবজন্তুর ন্যয় অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা নির্দয় হ…। যারা চুরি-ডাকাতি ও আত্মশাতের মাল খায় তারা লোভী ও হিংস্র হয়।

 আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে হারাম থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন , , , আমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *