আজকের শীর্ষ সংবাদ

ইফতার

ইফতার-করানোর-ফজিলত
Spread the love

ইফতার করানোর ফজিলত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের ফজিলত সম্পর্কে বললেন,

من فطر فيه صائما كان له مغفره لذنوبه وعتق رقبته من النار وكان له مثل قدره من غير ان تقصى من اجره شيء

যে ব্যক্তি এ মাসে রোজাদারকে ইফতার করাবে, তা তার পাপ মোচন ও দোযখ থেকে মুক্তির কারণ হবে। এবং এতে সে ওই রোজাদারের সমান পণ্যের অধিকারী হবে অথচ রোজাদারের পুণ্য তাতে একটুও কমবে না।

তখন সাহাবীগণ আরজ করলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আমাদের সকলের তো রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে ইফতার করাবার সামর্থ্য নেই।

ইফতার-করানোর-ফজিলত
ইফতার-করানোর-ফজিলত

 তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন;

يعطي الله هذا الثوب من فطر صائما على مزقه لبن او ثمره او شربه من ماءومن اشبع صائما سقاه الله من حودي شربه لا يظما حتى يدخل الجنه  

যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে এক ঢোক দুধ দ্বারা বা একটি খেজুর দ্বারা বা একটু পানি দ্বারা ইফতার করাবে,তাকেও আল্লাহ তা’আলা রোজাদারের সমান সওয়াব দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে উদর পূর্ণ করে খাওয়াবে আল্লাহ তারা তাকে আমার হাউস থেকে এমন পানি পান করাবেন, যে সে জান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত আর কখনো  পিপাসার্ধ হবেনা।

 কত চমৎকার কত সুন্দর ব্যবস্থা, একজনে সারাদিন কষ্ট করে না খেয়ে রোজা রাখে, আর একজনে সন্ধ্যা বেলা তাকে একটা খেজুর বা এক ঢোক দুধ বা একটু শরবত পান করিয়ে উক্ত রোজাদারের সমান সওয়াবের অধিকারী হয়ে যায়, সাথে সাথে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করে,অথচ যে রোজা রেখেছে তার সোয়াব বিন্দুমাত্র কমেনা। (রহমতে হক বাহানা মিজুআদ) আল্লাহর রহমতে বাহানা চায়।

 দুনিয়ার মানুষ বাহানা তালাশ করে না দেওয়ার জন্য,আর আল্লাহ বাহানা খোঁজেন দেয়ার জন্য।

 সুতরাং আমাদের উচিত রোজা রাখার পাশাপাশি অপর রোজাদারকে ইফতার করবারও একটা বাজেট নির্ধারণ করা এবং এ কাজে যাওয়ার চেষ্টা করা। নেক কাজে প্রতিযোগিতা করা কেবল জায়েজ ই নয় বরং তার হুকুম দেওয়া হয়েছে।

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন;

بادروا بالاعمال لصالحه

 তোমরা নেক কাজে প্রতিযোগিতা করে অগ্রসর হও ,

আল্লাহ তাআলা কুরআনে বেহেস্তের নেয়ামত রাজির বর্ণনা দিয়ে তা লাভ করার জন্য প্রতিযোগিতা করা নির্দেশ দিয়েছেন।

 তিনি এরশাদ করেন;

وفي ذلك فليتنافس المتنافسون

 এমন বিষয়ে প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত

 সাহাবায়ে কেরাম সারাটা জীবনই নেক কাজে প্রতিযোগিতা করে কাটিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সকল কাজে সাহাবা কেরামের পদাঙ্ক অনুসরণের তাওফিক দিন।

 এরপর আসাদুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন

فهو شهر اوله رحمه واوسطه مغفره واخره عتق من النار

এটা এমন একটা মাস যার প্রথম অংশ রহমত অর্ধাংশ মাগফিরাত এবং শেষ অংশ দোলকের আগুন থেকে মুক্তি

 সবশেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে মাহে রমজানে অধীনস্থদের প্রতি দয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন;

ومن خفف من مملوكه فيه غفر الله له واعتقه من النار

যে ব্যক্তি এ মাসে তার ক্রীতদাসের বা অধীনস্থ কর্মচারী চাকর বাকরকে কাজের বোঝা হালকা করে দেবে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন এবং দোযখ থেকে মুক্তি দান করবেন। (সুবহানাল্লাহ)

 অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা এ মাসে চারটি কাজ বেশি বেশি করে করবে দুটি এমন যারা তোমরা তোমাদের প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জন করবে এবং দুটি কাজ এমন যা ছাড়া তোমাদের কোন উপায় নেই। প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের কাজ দুটি হলো কালিমা পাঠ ও বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহও আস্তাগফিরুল্লাহ বেশি বেশি পড়া আর যে দুটি ব্যতীত তোমাদের কোন উপায় নেই তাহারও আল্লাহর কাছে জান্নাত চাওয়া এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া। অর্থাৎاللهم انا نسالك الجنه ونعوذ بك من النارএ দোয়া বেশি বেশি পড়া।
 এ ছিল মাহে রমজানের প্রাক্কালে শাবান মাসের শেষ তারিখে সাহাবায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত রসদুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ভাষণের বিশদ বিবরণ আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে এ মূল্যবান নসীহতের উপর যথাযথভাবে আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *