মাগুরার শিমুলিয়া গ্রামে মৃত: আমিন উদ্দিন শেখের ছেলে আঃ সবুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।
মাগুরার শিমুলিয়া আমিন উদ্দিন শেখের ছেলে আ: সবুরের পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ শে জুন ২০২৪ইং মাগুরার শিমুলিয়া গ্রামে।
ঘটনাটি তদন্ত করে জানা যায়, গত ২৫ শে জুন ২০২৪ ইং রোজ মঙ্গলবারের আগে নওশের, আলেক শেখের ছেলে নাজমুল ও আমিন উদ্দিন শেখের ছেলে আ: সবুর সেনিটিউবয়েলের কাজ করতেন। যে মালিকের বাড়ীতে টিউবয়েল পুতার কাজ করতে যেতেন।যে বাড়ীতে আফ-খোরাকি কাজ করতেন অর্থাৎ খাবার বাবদ মালিক যে টাকা দিতেন । আ; সবুর সে টাকা পেতেন না। এই টকা চাওয়ায় বিনা কারণে কাজ থেকে তাকে বাদ দেয়। আঃ সবুর নাজমুলের কাছে কাজ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ জানতে চায়লে দুই এক কথায় দুজনের ভিতর মারামারি হয়ে আহত অবস্থায় আঃ সবুর মাগুরা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি হয়। নাজমুলের গোষ্ঠির লোক মিমাংসার জন্য আ: সবুরের গোষ্ঠির লোকের কাছে গেলে বলা হয়। আ: সবুর হাসপাতাল থেকে আসলে মিমাংসা করা হবে। নাজমুলের গোষ্ঠির লোক উত্তেজিত হয়ে বলে মারির বদলে মার হবে। এই বলে চলে যা। পরে থানায় আ: সবুর একটি জিডি করে।
মাগুরা, শিমুলিয়া গ্রামের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আশরাফ আলী,( পিতা: তাউজুদ্দিন শেখ) তার দলের লোকের অর্থাৎ নাজমুলদের হুকুম দেয় টাকা যা লাগে আমি দেব আঃ সবুর হাসপাতাল থেকে আসার পর ইচ্ছামত মারবি। তারই পরিডেক্ষিতে গত ২৫ শে জুন ২০২৪ইং তারিখে রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ৫-৩০ মিনিট থেকে ৬.০০ ঘটিকার সময় বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী আশরাফ আলীর ছেলে আবু হুরায়রার নেতৃত্বে ২০-২২ জন যুবক চা-পাতি, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমিন উদ্দিন শেখের ছেলে আ: সবুরের বাড়ী ঘেরাও করে। আঃসবুরের মেজো ভাই-ভাবি স্বপন ও আসমা যুবকদের অনুরোধ করে বলে আপনারা আ: সবুরের মারবেন না। একটা মিমাংসা করেন। তারা আঃসবুরের মেজো ভাই-ভাবি স্বপন ও আসমার কথা না শুনে আ: সবুরের বাড়ীর গেট ভেঙ্গে ঘরের ভিতর গিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আ: সবুরকে এই ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শরীরের প্রায় ১৭ থেকে ১৮ জায়গায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপায়।মারা গেছে মনে করে স্বপনের গোয়াল ঘরের কাছে রেরেখে যায় কচু গাছের ঝোপের ভিতর রেখে যায়। পরে বাড়ীর ও এলাকাবাসীর লোক জন অনেক খোজাখুজির পর কচু গাছের ঝোপের ভিতর পেয়ে মাগুরা মেডিক্যাল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে । বর্তমানে অর্থোপেডিক্স ও ট্রোমা ইউনিট পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। যারা আ: সবুরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করছে। তারা হলো:-১। আবু হুরায়রা-২২ ( পিতা: আশরাফ আলী), ২। নাজিরুল শেখ-পিতা আলেক শেখ, ৩। ইমাম-৩০ -পিতা আলেক শেখ,৪। হাসান আলী-৪০, পিতা: ফুলমিয়া শেখ, ৫। সবুজ-২৯, পিতা: ছুরমান শেখ, ৬। সৌরভ-৩২, পিতা: দলূ শেখ, ৭।জাফর-৫৫, পিতা: বিলাত আলী শেখ,৮। আসাদ-৪৫, পিতা: ফুলমিয়া শেখসহ দাখিল, দলু, আলেক , নাজমুল আরো অনেকে ছিলেন। এছাড়াও ৪টি ইজিবাইক বিক্রিত ৬ ছয় লক্ষ টাকা লুট করে। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি এদেরকে দ্রুত ধরিয়ে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
