যুক্তরাজ্যের সমুদ্রের পানিতে সন্ধান পেয়েছে নতুন এক সামুদ্রিক প্রাণীর।
ধারণা ছিল পৃথিবীতে এই প্রজাতির কেবল দুই ধরনের সামুদ্রিক স্লাগ রয়েছে। তবে এতদিন পর্যন্ত এদের কোনোটিই সমুদ্রের পানিতে দেখা যায়নি।
স্ল্যাগ হচ্ছে শামুকের মতো বিশেষ এক প্রাণী যার কোন শক্ত খোলস নেই।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের দিকে স্লাগের তৃতীয় প্রজাতির প্রাণীর সন্তান পেয়েছে যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর এনভয়য়মেন্টাল ফিসারিস অ্যান্ড কালচার সাইন্স এর বিজ্ঞানীদের দল।
এ বিশেষ নতুন প্রজাতির নাম দেয়া হয়েছে প্লিউরোব্রোঙ্কিয়া ব্রিটানিকা। ২০১৮-১৯ সালে পশ্চিম চ্যানেল ও সেলটিক সাগরে তারা প্রথম সন্ধান পায় ও আরো অন্যান্য সংস্থা।
এখনো নতুন প্রজাতির প্রাণীর ১৪ টি নমুনা খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীদের দল। এ থেকে সহজে ধারণা করা যায় প্রাণীটির আকার দুই থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার এর মধ্যে।
অন্যান্য প্রজাতির সামুদ্রিক স্লাগ দেখতে সাধারণ হলেও উষ্ণ পানিতে পাওয়া এ প্রজাতির সামুদ্রিক স্লাগ কিছুটা বৈচিত্র্যময়। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছে জলবায়ু পরিবর্তনের চলমান প্রভাবের কারণে নতুন এই প্রজাতির প্রাণীটি এতটা উত্তর দিকে চলে এসেছে।
গবেষকরা প্রথমে ভেবেছিলেন এরইমধ্যে চেনা কোন প্রাণী নতুন বংশ খুঁজে পেয়েছে। তবে প্রাণীটিকে নিয়ে আরো পরীক্ষা করার পর জানা যায় এগুলো স্বতন্ত্র প্রজাতিই ছিল।
এ অনুসন্ধান চলানো সোফাসে এর বাস্তুতন্ত্রবিদ রস বুলিমোর বলেন আমরা প্লিউরোব্রাঙ্কিয়ার যে নতুন প্রজাতিটির সন্ধান পেয়েছি তা নিশ্চিত হতে কেবল দুইটি নমুনার ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এর চেয়ে উত্তর দিকের পানিসীমায় এ বংশের অন্য কোন প্রজাতি নথিভুক্ত না হওয়ায় এটি রোমাঞ্চকর ছিল।
স্পেনের ইউনিভার্সিটি অফ কাডিস এর সঙ্গে বিষয়টি পুঙ্খানুভাবে মূল্যায়ন করার পর আমরা জানতে পারি এটি তৃতীয় প্রজাতির প্রাণী। আমরা নতুন একটি প্রজাতি শনাক্ত করেছি।
প্রায়শই ধারণা করা হয়, যুক্তরাজ্যের সমুদ্রের পানিতে সম্পর্কে আমরা জানি। তবে আমাদের বাড়ির উঠানে সম্পর্কে এখনো আমাদের অনেক কিছু শেখা বাকি।
ইউনিভার্সিটি অফ কাজিস এর জীববিজ্ঞানী বিভাগের অধ্যাপক লুকাস সেরভেরা কুররাদো বলেছেন সেফাস এর বিজ্ঞানীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন তারা সামুদ্রিক স্লাগ প্লিউরোব্র্যঞ্চিয়ার অন্তর্গত নতুন প্রজাতির প্রাণী সংগ্রহ করেছেন। তবে পরিচয় নিয়ে সন্দিহান তারা। আমি অবাক তাদের কার্যক্রম দেখে।
এর প্রথম কারণ সামুদ্রিক প্রাণীর প্রজাতি গুলো ব্রিটিশ দ্বিপুঞ্জে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। দ্বিতীয় কারণ হলো ইউরোপীয় পানিতে এ শ্রেণীর নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া অতি রোমাঞ্চকর।