আজকের শীর্ষ সংবাদ

আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন।

আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন।
Spread the love

হাঁস পালন ও তার যত্ন

আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন।
আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন।

পৃথিবীর সব হাঁস এসেছে বনো-পাখি থেকে। এই বুনো পাখি আমাদের দেশের মাটিতে একদিন চরে বেড়াত। সে হাঁস এশিয়ার অন্য বুনো-হাঁসের মত এখানকার পানিতে, জঙ্গলে চরে বেড়াতো। এই বুনো হাঁস ”ম্যালারড্” গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখা ভালো পৃথিবীর সব এসেছে লাল বন- মুরগি থেকে। বৈজ্ঞানিক নাম যার গ্যারাস্ ব্যানবিন্ডা।

সকলেই জানে হাঁস জলচর জীব। জলছাড়া হাঁস এবং জলাশয় ছাড়া মাছ একই কথা। না একটু ভুল হয়ে গেল। পানি ছাড়া মাছ কল্পনা করা যায় না। মানলাম। কিন্তু জলাশয় ছাড়া হাঁস অসম্ভব! মোটেই না। অথচ, সত্যি কথা বলতে কী, পানির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই এমন পদ্ধতিতে ও হাজার হাজার হাঁস পালন সম্ভব। এবং সেটা হবে ঠিক মুরগির মত ঘরের মধ্যে রেখে। মেঝেতে বিছানা পেতে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে সে হাঁস- শুধু বাওয়া বা অনিষিক্ত ডিমই পেড়ে যাবে। তাতে কোনদিন বাচ্চা হবে না। নিষিক্ত ডিম চাইতে গেলে পানির সঙ্গে মদ্দা হাঁস ও লাগবে। এই কারণে অনায়াসে হাঁসকে পানি ছাড়াও পালন করা সম্ভব। কারণ, কেবল প্রজনন ছাড়া হাঁসের পানির দরকার পড়ে না।

হাঁসের বিশেষত্ব
হাঁসের তেলতেলে পালকগুলি ওর দেহে চাটুর মত সাজানো থাকার জন্য চট করে গায়ে পানি লাগে না। দেহে পানি না বসার আরো একটা কারণ হলো হাঁসের চামড়ার নিচে আছে চর্বির একটা পর্দা। এই কারণে হাঁস ঘন্টার পর ঘন্টা পানিতে থাকলেও ওদের দেহের নাম মাত্র ক্ষতি হয় না।
হাঁসের আরেক বিশেষত্ব ওর পায়ে। পায়ের তিনটি আঙ্গুল একটা পাতলা চামড়ায় মোড়া। ইংবাজিতে বলে ‘ওয়েব’। নৌকার বৈঠার মত কাজ করে ‘ওয়েব’। আঙ্গুল শেষ নখে। কোন কোন জতের হাঁসের নখ আত্মরক্ষার কাজ করে।

হাঁসের ঠোঁটটা ও লক্ষ্য করার মত। লাল থেকে কমলালেবুর রঙা। শক্তপোক্ত। ঐ শক্ত শক্ত ঠোঁটটার নিচে রয়েছে ঝিলি্ল। ঐ নরম শৈ্লষ্মিক ঝিলি্ল আটকে দেয় ওপরের শক্ত ঠোঁটের আবরণীর সাহায্য পানির মাঝের নানা ধরনের খাবার – শেওলা, কীটপতঙ্গ, মাছের ডিম থেকে ডিম পোনা, ধানীপোনা এমন কি ফুলধনী পর্যন্ত। অর্থাৎযা আটকাবে সব চলে যাবে সটান পাকস্থলীর মধ্যে।

হাঁসের ঠোঁট আত্নরক্ষার কাজে ও সাহায্য করে। মুরগি দিনে ডিম পাড়ে। হাঁস পাড়ে সমস্ত রাত ধরে এবং সকাল ৯টা পর্যন্ত। এর জন্যই গৃহস্থ সকাল ৯টার আগে হাঁস পুকুরে ছাড়তে চায় না। আর সকাল ৯টার অনেক আগে যদি কেউ ছাড়ে তবে ভাগ্যবানের পক্ষে ডুব দিয়ে উঠে অবাক করা রূপ পাবেন কিনা জানি না তবে হাঁসের ডিম পেতে পারেন।

হাঁসকে কাছ থেকে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় হাঁস খুবই বুদ্ধিমান পাখি। অনেক রহস্যের চাবি কাঠি আছে ও্রর কাছে। বিলেত আমেরিকার মানুষ শুধু মাত্র হাঁসের জলকলি দেখেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দেয়। শুধুমাত্র সৌন্দর্যের জন্য এক বিশেষ জাতের হাঁস মানুষ সৃষ্টি করেছে।

আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন।
আধুনিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন।

হাঁসের খাবার
বিলেতি রাজ হাঁস গিস ছাড়া সব জাতের হাঁসই উভয়ভোজী। অর্থাৎ ওদের খাবারে আমিষ এবং শ্বেতসার দুটো খাদ্য উপাদানেরই আধিক্য রয়েছে। এককথায় হাঁসের খাবারটা হবে মুরগির কায়দায়। তবে হাঁসের খাবার সবটাই মুরগির মত নয়। তাই মুরগির সুষম খাদ্য হাঁসকে খাওয়ালে হাঁসের স্বাবিক উৎপাদন পাবেন না।

কিছুদিন আগে পর্যন্ত ব্যবসা বা বানিজ্য করার জন্য হাঁস পোষা হত না। আজ দিন পাল্টেছে। খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস-মুরগির চেয়ে ও বেশি ডিম দেয় বলে তাকে সম্পূর্ন বৈজ্ঞানিক কায়দায় বিজ্ঞানীর সুপরামর্শমত সুষম হাঁস খাদ্য খাওয়ানো হচ্ছে। পরবতির্তে খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালনের সময় সেটা বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।

তবে দেশী হাঁসকে ঘরের কাজ চালানো গোছের ডিমের জন্য খাবার দিতে হবে- চালের কুড়ো, যে- কোন খোল (রেডি মহুয়া বাদ দিয়ে), আটার ভূষি, মাছ-মাংসের ফেলনা বা ফেলে দেওয়া জিনিস এবং প্রচুর গেঁড়ি, শামুক। মনে রাখতে হবে হাঁস প্রচুর খায় এবং তার ভাবটা সব সময়- এটা খাই, ওটা খাই। সুতরাং সুষ্ঠুভাবে হাঁস পুষতে হলে তার খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর তাহলেই মাংস ও ডিমের প্রকৃত যোগান সম্ভব।

হাঁসের ডিম এবং মাংসের বাজার

হাঁসের ডিমের বাজারের বিষয়ে তেমন কোন দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কারণ আবহমান কাল থেকে মানুষ হাঁসের ডিম খেখয়ে আসছে। বাজারে গেলে লক্ষ্য করে দেখা যায় মানুষ প্রথমে চাইবে হাঁসের ডিম।

কারন এতে সে অভ্যস্ত। তার বাপ- পিতামহ তার ওপরের পুরুষরা হাঁসের ডিমে কোন অশুচি অমঙ্গলের চিহ্ন দেখেনি।
কিন্তু মুরগির ডিমের ব্যাপারে এটা বলা যাবে না। আজ থেকে মাত্র ত্রিশ বছরের আগে ও মানুষ খুব ঠেকায় না পড়লে মুরগির ডিম খেত না। অথচ, সেই মুরগির ডিম আজ এত প্রচলিত যে তাকে নিয়ে ও বাছ- বিচার হচ্ছে।

পোল্ট্রির ডিম অর্থাৎ উন্নত দো – আঁশলা বা জাত মুরগির ডিম খাব না। দেশি ডিম খাব। দাম ও দেশী ডিমের পোল্ট্রির ডিমের চেয়ে বেশি।
তবে হাঁসের ডিমের বিষয়ে এসব বাছবিচার নেই। কারণ, হাঁসের তো আর দেশি বা ফার্ম নেই। হাঁস অনেকে ঘরোয়া ভাবে বা বৃহৎ আকারের পোষে।
আর জাত হাঁসের কোন জাতই দেশী নয়। সুতরাং হাঁসের দেশি বা বিদেশী এসব ফারাক সৃষ্ট করে মানুষ ডিমের ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে নি এবং পারবে ও না।

এছাড়া, হাঁসের ডিম আকারে বেশ বড়। এই কারণে খাদ্য সংস্থানের জন্যেও অনেকে হাঁসের ডিম পছন্দ করে থাকে।
ঠিক উল্টো সুর হাঁসের মাংসের ব্যাপারে। ওটা খাব না, মাংসে আঁশটে গন্ধ। ছোবড়া ছোবড়া খেতে। মুখে পালকের থেকে যাওয়া গোড়া লাগে। মাংসে পালকের জন্য ফুটোয় ভর্তি। মাংসের রং কালো। সাত- সতেরো।

কিন্তু এই হাঁসের মাংসও বাজারে আজ কাল পড়ে থাকে না। কারণ মানুষ প্রাণিজ আমিষের মাহাত্ন্য বুঝেছে। দেহের বৃদ্ধি, মস্তিষ্কের স্ফুর্তি এবং দেহের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করতে আমিষ, বিশেষ করে প্রাণিজ আমিষ। হোক না হাঁসের মাংস হাজারটা আপত্তিজনক কথা। তবু পানিজ আমিষ এবং দামে মোটামুটি সস্তা সুতরাং বাজারে কখনই এই প্রাণীটিকে বিক্রি না করে ফেরত নিয়ে যেতে দেখা যায় না।

পৃথিবীর বিভিন্ন জাতের হাঁস
তিন ধরনের হাঁস আছে পৃথিবীতে- (১) মাংসের জন্য বিখ্যাত, (২) ডিমের জন্য বিখ্যাত এবং (৩) ডিম এবং মাংস দুটি জিনিসই একই ধরনের হাঁসের কাছে পাওয়ার জন্য বিখ্যাত।

মাংসের জন্যে বিখ্যাত হাঁসগুলি
পিকিং,আয়লেশবারি, মাসকোভি, রুয়েল ক্যায়ুগা, সুইডেন হাঁস। মাংসের জন্য বিখ্যাত হাঁসগুলির মদ্দার ওজন ৫কেজি হলে মাদি হবে ৪কেজি।
(২) ডিমের জন্য বিখ্যাত হাঁস এটাই আর সেটা হলো- ”ইন্ডিয়া রানার” হাঁস নয় তো যেন আগের দিনের গ্রামের ডাক হরকরা।
পিঠে থলে বোঝাই জিনিসপত্র, আর মাথাটা উঁচুতে। ইন্ডিয়ান রানার এর রং তিন রকম- সাদা, পাঁশুটে অথবা সারা পিঠে পেনসিলের শিষের মতো দাগ কাটা।
(৩) মাংস এবং ডিমের জন্য বিখ্যাত খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস সৃষ্টিহয়েছে দুটি হাঁস থেকে। ইন্ডিয়ান রানার এবং রুয়েল ক্যায়ুগা।
প্রথমটা ডিমের জন্য এবং পরেরটা মাংসের জন্য বিখ্যাত। খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁসটি সষ্টি করেন তৎকালীন ভারতীয় ব্রিটিশ রাজ্যপাল পত্নী মিসেস ক্যাম্পবেল। হাঁসটির রং খাকি বা ছাই ছাই বাদামি।

বাংলাদেশী হাঁস
খুবই দুঃখের কথা, বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে এমন কোন তবে নিজস্ব হাঁস নেই। অথচ মজার কথা সব উন্নত জাতের মূল সূত্র ম্যালারড্ এককালে আমাদের দেশেরই পানিতে, জঙ্গলে চরে বেড়াতো।
খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে- দুইটি হাঁসের মিলনের মধ্যে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এই দুটো হাঁসের রয়েছে দুটো ভিন্ন ভিন্ন গুণ। তাদের একটি মাংস এবং অপরটি ডিমের জন্য বিখ্যাত। তারা হলো ইন্ডিয়ান রানার এবং রুয়েল ক্যায়ুগা।
তৎকালীন পাকিস্তানী ( বর্তমান বাংলাদেশ) শাসক সেই হাঁসের চাষ নিজ দেশে করার জন্য জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টা করে।
জনগন ও কম জায়গায় বা অল্প জায়গায় এমন লাভজনক ফলাফল দেখে বেশ উৎসাহী হয়ে পড়ে।

তার পর থেকে প্রথমে পাকিস্তান- পরে স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে খাঁকি ক্যাম্পবেল জাতের হাঁস পালনের প্রতি বিশেষ জোর দেয়া হয়। এই ভাবে প্রায় প্রতিটি গ্রামীণ মানুষের কাছে পৌছে গেছে এই জাতের হাঁস পালনের সুফল বার্তা।
সবচেয়ে বড়ো কথা, খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস আমাদের দেশের আবহাওয়ায় টিকে ও গেছে ভাল। গড়ে ডিম দেয় বছরে তিনশো মতো। উন্নত জাতের দো-আঁশলা মুরগির চেয়ে কম তো নয়ই, বরং বেশি।

বর্তমানে গ্রাম্য এড়িয়ায় হাঁস পালন খুবই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। নতুন যারা লাভজনক হাঁস পালতে চাচ্ছে তাদের জন্য হাঁস পালন পদ্ধতি নিয়ে পুরো আর্টিকেল।
আমাদের দেশে হাঁসের বেশ ভালই জনপ্রিয়তা আছে । তবে আমাদের দেশের আবহাওয়া হাঁস পালনের ক্ষেত্রে উপযোগী।
কিন্তু আমাদের দেশে হাসের চেয়ে মুরগির জনপ্রিয়তা টাই বেশি। কিন্তু বর্তমানে ও হাঁসের ভালোই জনপ্রিয়তা রয়েছে আমাদের দেশে।
আর এটা সকলেই জানে যে, বাড়িতে যদি হাঁস পালন করা হয় তবে ডিমের যোগান নিশ্চিত। এতে করে শিশুদের অপুষ্টি দূর হয় এবং পুষ্টির ঘাটতি মিটে ।

হাঁসের ডিম অনেক পুষ্টিকর ।আমরা সবাই জানি যে, হাঁসের মাংস অন্য যেকোনো মাংসের তুলনায় শরীরের জন্য অনেক উপকারী ।তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া হাঁস পালনের জন্য একদম উপযোগী। তাই আমাদের দেশের দীর্ঘকাল ধরে খুব সহজে হাঁস পালন সম্ভব ।আমাদের দেশে হাঁস পালন একটি লাভজনক ব্যবসা।
বর্তমানে অনেকেই এখন তার প্রধান পেশা হিসেবে হাঁস পালন পদ্ধতি কে বেছে নিয়েছে ।
অন্যান্য কাজের পাশাপাশি হাঁস পালন করেও মানুষ তার বাড়তি আয়ের নিশ্চিত করছে। উন্নত জাতের একটি হাঁস ডিম দিয়ে থাকে বছরে প্রায় 300 টি ।
পুকুরপাড়ের দিকে হাঁস পালন খুবই লাভজনক ।হাঁস পালনের সঠিক জ্ঞান থাকলে এই ব্যবসায় প্রচুর লাভবান হওয়া সম্ভব।
আমাদের দেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষই চাকরির সন্ধানে থাকে। যার ফলে বেশীরভাগ মানুষই বেকার ।
আর এই দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে হাঁস পালনে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।

এছাড়া যারা চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের চিন্তা করছে ,তাদের জন্য এক কথায় হাঁস পালন পদ্ধতি হচ্ছে সেরা।
আর কিছু মানুষ আছে যারা স্বল্প মূলধনের কারণে ব্যবসায় আগাতে পারছে না তাদের জন্যও হাঁস পালন একটি সুবিধাজনক ব্যবসা।
কারণ হাঁস পালনে ব্যয়ের তুলনায় লভ্যাংশের পরিমাণ অনেক বেশি ।
যারা মাছ চাষ করে থাকেন তাদের জন্য মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস পালন করা উচিত । কারণ হাঁস ও মাছ চাষের সমন্বয়ে মাছের জন্য আলাদা খাদ্য দিতে হয় না।
আর হাস থাকলে মাছ খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পায় ।তাই বলা যেতে পারে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে হাঁস পালন খুব ভালো ভূমিকা পালন করছে। কারণ এতে করে দেশের বেকারত্বের পরিমাণ হ্রাস হচ্ছে।

হাঁস পালন কেন করবেন?

হাস হলো আমাদের দেশের একটি প্রচলিত গৃহপালিত প্রাণী ।আর আমাদের দেশে গ্রামের দিকেই বেশি হাস পালিত হয় ।
হাঁসের ডিম বা মাংস অন্যান্য সব কিছুর তুলনায় তুলনামূলকভাবে শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর খাদ্য। তাই বর্তমানে আমরা হাঁসের ডিম ও মাংসের জন্য হাঁস পালন করে থাকি।
বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় হাঁসের ফার্ম রয়েছে ।অন্যান্য যেকোন ফার্মের তুলনায় হাঁসের ফার্ম এ ব্যয় ও শক্তি খুব কম লাগে।
মুরগির চেয়ে হাঁসের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে পরিশ্রম কম হয়, কারণ বেশিরভাগ সময়ে হাস পানিতে, ধানক্ষেতে থাকে
যার কারণে বেশিরভাগ সময় হাস বাইরে বাইরে ঘুরে এবং তার নিজের খাদ্য ঘাটতি পূরণ কর।

হাঁস ছোট ছোট মাছ খায় যার কারণে এর বৃদ্ধি ও খুব তাড়াতাড়ি হয় ।আমরা যেসব কারণে হাঁস পালন করব তা হলঃ

১. হাঁস পালনে ব্যয়ের চেয়ে অধিক আয় সম্ভব।

২. হাঁস পালনে পরিশ্রম খুব কম হয়।

৩. একটি মুরগির চাইতে হাস অনেক বেশি ডিম দিয়ে থাকে এবং একটি হাঁসের ডিম মুরগির চাইতে 10 – 15 গ্রাম বড় হয়ে থাকে।

৪.হাঁস খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং এরা নিজের খাদ্য নিজেরাই বাইরে ঘুরে ঘুরে খেয়ে থাকে।

৫. হাঁসের ডিম একটি পরিবারের পুষ্টির ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে।

৬. হাঁস তুলনামূলকভাবে অনেক বড় হয়ে থাকে। এবং শারীরিক দিক থেকে এরা অনেক শক্তিশালী হয় ।

এছাড়া হাস খুব সহজেই রোগবালাই থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে।

হাঁস পালনের উপকারিতা

বাংলাদেশ হাঁস পালনের অনেক উপকারিতা রয়েছে ।হাঁস পালন মুরগি পালন অপেক্ষায় অনেক সহজ ও উপকারী । যে কেউ খুব সহজেই হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারে।

হাঁস পালনের মাধ্যমে আমিষের অভাব খুব সহজে দূর হয়ে থাকে । এ ছাড়া হাঁস পালনে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।

আমরা এখন হাঁস পালনের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবঃ

১. হাঁস পালনে বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না কারণ অনেকগুলো হাঁস একগুচ্ছ হয়ে একটু জায়গাতেই বসবাস করতে পারে।

২. হাঁস পালনে হাঁসের বিষ্ঠা সংগ্রহ করা যায়।আর হাঁসের বিষ্ঠা হলো ভালো মানের জৈব সার।

৩. মুরগির তুলনায় হাঁসের রোগবালাই অনেক কম হয়ে থাকে।

৪. হাঁস সাধারনত সকালে ডিম দিয়ে থাকে। এতে করে যারা ব্যবসা করে তাদের ব্যবসার জন্য এটা খুব জরুরী।

৫.হাসকে যদি খোলা অবস্থায় পালন করা হয়, তবে হাঁসের জন্য তেমন খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে না।

৬. হাঁস পালনে আমিষের অভাব দূর করা সম্ভব।

৭. হাঁস ও মাছ একসাথে চাষ করা সম্ভব।

৮. হাঁস পালনে খরচ অনেক কম।

৯. হাঁসের মল, মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের ফলে ,মাছ চাষে বাড়তি খাদ্যের প্রয়োজন পড়ে না।

১০. হাঁসের ডিমের খোসা ও খোসার নিচের আবরণ মোটা হওয়ার ফলে ,ডিম নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।

১১. হাঁসের মল কৃষি জমির জন্য উৎকৃষ্ট একটি সার।

১২. মুরগির তুলনায় অনেক বেশি ডিম দিয়ে থাকে।

১৩. হাঁসের বৃদ্ধি খুব তাড়াতাড়ি হয়।

তাই হাঁস পালনে উপকার অনেক আর এর ক্ষতিকর দিক নেই বললেই চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *