মুমিনদের কর্তব্য হলো আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইস্তেগফার করা । কুরআন সুন্নাহ ঘোষিত রিজিকে বরকত সহ ফজিলত ও পদমর্যাদা পেতে বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে হবে।
সাইয়েদুল ইস্তিগফারের উচ্চারণ –
আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।
সাইয়েদুল ইস্তিগফারের অর্থ :
হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারেই আবদ্ধ। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ, তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।
আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া তুবু ইলাইহি : অর্থাৎ, আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছ থেকে ফিরে আসছি। এ ইস্তিগফার প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার পড়ার নিয়ম। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তওবা ও ইস্তিগফার করতেন। (বুখারি)
ইস্তেগফার করার নিয়ম
সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইস্তিগফার করার নিয়ম। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ ইস্তিগফার পড়তে যেন ভুল না হয়। হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি এ ইস্তিগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যায় কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যায়, সে জান্নাতে যাবে। (বুখারি)
মহানবী (সা.) বলেন আমি প্রতিদিন ৭০ বারের বেশি আল্লাহর কাছে তওবা করি।
(আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া তুবু ইলাইহি)