আজকের শীর্ষ সংবাদ

কাশি বাড়ছে রাতে ঘুমাতে গেলেই?

কাশি বাড়ছে রাতে ঘুমাতে গেলেই?
Spread the love

দিন-রাতের তারতম্য হওয়ায় অনেকেই এখন ভুগতেছেন জ্বর, ঠান্ডা-কাশিতে। জ্বর, সর্দি কয়েকদিনের মধ্যে কমে গেলেও কাশি ছাড়তে দেরি হচ্ছে। কাশিরদাপট আরো বেড়ে যাচ্ছে রাতে শোয়ার সময়ে। এ কারণে কাশি কমাতে ওষুধের পাশাপাশি ভরসা করা যেতে পারে ঘরোয়া সমাধানের উপর।

কাশি বাড়ছে রাতে ঘুমাতে গেলেই?
কাশি বাড়ছে রাতে ঘুমাতে গেলেই?

গরম পানি: গরম পানি কাশিকে অনেকটাই কমিয়ে আনে। ঠান্ডা পানি পান করলে কাশি অনেক বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই কাশি কমা পর্যন্ত হালকা গরম পানি পান করুন। হালকা গরম পানি খেলে আরাম পাবেন। এর পাশাপাশি গরম ভেষজ চা গরম, সুপ ইত্যাদি খেতে পারেন শুকনো কাশি ভালো হবে এতে গলা ঝোলা অনেকটাই কমে যাবে।

আদা পানি: কাশি দূর করতে আদার জুড়ি মেলা ভার। শ্বাসনালীর থেকে কফ বের করতে আদা সাহায্য করে আদার টুকরো করে সামান্য লবন মাখিয়ে খেলে কাশি কমতে পারে। বাজারে নানা ধরনের আদা কিনতে পাওয়া যায়। মুখে শুকনো আদা মুখে শুকনো আদা রাখলেও উপকার পেতে পারেন। এছাড়া আদা দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন।

মধু পানি: মধু সর্ব রোগের ঔষধ। প্রাচীনতম ঘরোয়া প্রতিকার গুলির মধ্যে মধু অন্যতম। মধু পান করলে ব্যাথার পাশাপাশি জালাও সারিয়ে তোলে। মধুতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রমণ দূর করে।

যষ্টিমধু: শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সর্দি কাশিতে অত্যন্ত উপকারী যষ্টিমধু। গলা ব্যথা গলার জালা উপশম করে। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রদাহ নাশ করে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ দূরে রাখে।

লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করা: লবণ পানি দিয়ে বারবার কুলকুচি করলে গলার ব্যথা কমিয়ে আসে। লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যায়। অর্ধেক গ্লাস গরম পানিতে কিছুটা লবন মিশিয়ে দু বেলা বা তারও বেশি কুলকুচি করুন উপকার পাবেন।

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতায় থাকে মেন্থল যা গলার অস্বস্তি কমায়। চায়ে পুদিনা পাতা মিশিয়ে উপকার পাওয়া যায়। শুকনো কাশির সমস্যায় পুদিনা পাতা দারুন উপকারি।

ভাব নেওয়া: গরম পানি করে কয়েক ফোটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে ভাব নিতে পারেন। গলা ব্যথা, সর্দি-কাশিতে ভাব নেওয়া কারি বেশ উপকারী। আবার শুধু গরম পানিতেও ভাব নেওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *