আজকের শীর্ষ সংবাদ

টিএসপি সারের গুরুত্ব 

টিএসপি সারের গুরুত্ব
Spread the love

ট্রিপল সুপার ফসফেট সারই টিএসপি সার নামে পরিচিত। এতে সর্বাধিক পরিমাণ ফসফেট পাওয়া যায়। রক ফসফেট নামক খনিজ পদার্থের সঙ্গে ফসফরিক এসিডের বিক্রিয়ায় এই সার উৎপন্ন হয়। এতে ৪৬ শতাংশ ফসফেট, ১৩ শতাংশ ক্যালসিয়াম ও ১.৩ শতাংশ গন্ধক বিদ্যমান থাকে।

টিএসপি সারের গুরুত্ব
টিএসপি সারের গুরুত্ব

এই সারের রং সাধারণত ধূসর থেকে গাঢ় ধূসর হয়। এতে অম্ল স্বাদযুক্ত ঝাঁজালো গন্ধ থাকে। এটি পানিতে সহজে গলে যায়। দানাদারজাতীয় এই সার আকারে ডিম্বাকৃতি বা গোলাকার হয়।

সংরক্ষিত অবস্থায় এটি সাধারণত জমাট বাঁধে না।

মাটিতে ফসফরাসের ঘাটতি হলে ফসলের কাণ্ড ও মূলের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। গাছের পুরনো পাতা অকালে ঝরে যায়। পার্শ্বীয় কাণ্ড ও কুঁড়ির বৃদ্ধি কম হয়।

টিএসপি সার মাটির ফসফরাসের ঘাটতি পূরণ করে। ফসফরাস গাছের শিকড় মজবুত করে, সময়মতো ফুল ফোটায়, ফসল পাকায় এবং ফসলের গুণগত মান বাড়ায়। আবার এই সারের অতিরিক্ত ব্যবহারে মাটিতে ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। মাটিতে ফসফরাসের পরিমাণ বেড়ে গেলেও ফসলের ফলন কমে যায়। গাছের বৃদ্ধি হ্রাস পায় এবং অকাল পরিপক্বতা লাভ করে।

বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে এই সারের ব্যবহার শুরু হয়েছে ষাটের দশকে। ১৯৮০-৮১ সালে ব্যবহৃত টিএসপি সারের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ১৫ হাজার টন। ২০১৭-১৮ সালে এই সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয় সাড়ে ছয় লাখ টন। অর্থাৎ গত প্রায় সাড়ে তিন দশকে টিএসপি সারের ব্যবহার বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। আমন ধানের জমিতে সাধারণত বিঘা প্রতি ৭-১০ কেজি টিএসপি সার

প্রয়োগ করতে হয়। বর্তমানে এই সারের মূল্য কেজি প্রতি ২২-৩০ টাকা।

এই সার কৃষকবান্ধব। মাঠ ফসল, সবজি ও ফলের বাগানে সর্বজনীনভাবে এই সার ব্যবহার করা যায় বলে এ দেশের কৃষকরা তা সহজে গ্রহণ করেছে এবং এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

টিএসপি সারের গুরুত্ব
টিএসপি সারের গুরুত্ব

#_ টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট)ঃ ফসফরাস কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করে। শর্করা উৎপাদন ও আত্তীকরণে সাহায্য করে। শিকড়ের বৃদ্ধি বিস্তার উৎসাহিত করে। গাছের কাঠামো শক্ত করে এবং নেতিয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে। রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করে। ফুল, ফল ও বীজে গুণগতমান বাড়ায়।

মাটিতে ফসফরাসের ঘাটতি হলে কাণ্ড এবং মূলের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। গাছের বৃদ্ধি কু-লিকৃত বা পাকানো হয়। পুরাতন পাতা অকালে ঝরে যায়। পার্শ্বীয় কাণ্ড এবং কুড়ির বৃদ্ধি কমে যায়। ফুলের উৎপাদন কমে যায়। পাতার গোড়া রক্তবর্ণ অথবা ব্রোনজ রঙ ধারণ করে। পাতার পৃষ্ঠভাগ নীলাভ সবুজ বর্ণ ধারণ করে। পাতার কিনারে বাদামি বিবর্ণতা দেখা যায় এবং শুকিয়ে যায়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়।

ব্যবহারঃ  প্রথমত গাছের মাটি তৈরি সময় মাটির সঙ্গে বিভিন্ন উপাদানের পাশাপাশি টি এস পি সার মেশাতে পারেন।  প্রতি  মিশ্রণে ৪%  টি এস পি সার রাখতে পারেন।  এতে গাছ লাগানোর পর গাছটিতে ফসফরাসের অভাব হবে না।  উল্লেখ্য,   মাটিতে, টিএসপি পটাশ  ও  ডিএপি সার মেশাতে পারেন।  তবে এই রাসায়নিক সার মাটিতে মেশানোর পর সেই মাটি তিন থেকে চার দিন পর ব্যবহার করা উত্তম।  এতে করে আরকি সমস্ত মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারবে।

পাশাপাশি  টপ এর চারপাশে 15 থেকে 20 দানা পরিমাণ সার ছড়িয়ে দিতে পারেন। 

সতর্কতাঃ  টি এস পি সার  অধিক ব্যবহারে ইউরিয়া সারের মত ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নাই।  তবুও পরিমাণমতো ব্যবহার করাই উত্তম।  টি এস পি সার  মাত্রা অতিরিক্ত ব্যবহারে গাছের ফলন বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। 

ডি এ পি এর কাজ টি এস পি এর মতন।  তবে ডিপিতে ফসফরাসের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও নাইট্রোজেন যুক্ত থাকে। যেটা গাছের জন্য অধিক উপকারি।

ব্যবহারবিধি  ও সতর্কতা  টিএসপিএন মতই  একই।

(আমাদের পেজের মাধ্যমে কেনার জন্য মেসেজ করুন। যেহেতু প্রতিনিয়ত মূল্য ওঠানামা করে তাই আপডেট মূল্য জানতে পেজের রেগুলার পোষ্ট ফলো করুন অথবা আমাদের ইনবক্স এ মেসেজ করুন )

গাছের যত্ন সম্পর্কে পেজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পোষ্ট করা হয়, সকল পোষ্ট এর সূচিপত্র একত্রে পেতে এই লিঙ্ক এ দেখুনঃ

“গাছের সৌখিনতা” নোটই দেখতে পারবেন।

টিএসপি সারের গুরুত্ব
টিএসপি সারের গুরুত্ব

টিএসপি সার 500 গ্রাম প্যাকেট

  • TSP সারে থাকে ফসসরাস যা উদ্ভিদের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
  • উদ্ভিদের কান্ড বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • উদ্ভিদের মুলকে শক্তিশালি করে এবং দ্রুত শিকড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • উদ্ভিদে সঠিক সময়ে ফুল ও ফল আসতে সাহায্য করে এবং ফুল ও ফলের আকার বড় করে।
  • উদ্ভিদের কোষ বিভাজন বেশি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *